KMC 107: এবার তৃণমূলের বাজি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লিপিকা

ভোটের ময়দানে এই প্রথম হলেও রাজনীতিতে তিনি নতুন নয়

নামটির সঙ্গে তাঁর এলাকার মানুষের পরিচয় দীর্ঘদিনের। এলাকার শিশুদের সার্বিক বিকাশে তাঁর ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করার মতো। শিক্ষিকা, নৃত্যশিল্পী, সমাজকর্মী থেকে এবার ভোটের ময়দানে লিপিকা মান্না (Lipika Manna)। কলকাতা পুরসভার (KMC) ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে শাসক দল তৃণমূল (TMC) তাঁকে প্রার্থী করেছে। এবারই প্রথম রাজনীতির ময়দানে লিপিকা। তবে তিনি নার্ভাস নন, বরং আত্মবিশ্বাসী। নিজের সংসারের মতোই তিনি নিজের ওয়ার্ডকে সুন্দর রাখার অঙ্গীকার নিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছেন লিপিকা মান্না।

লিপিকা বলেন, “কলকাতা পুরসভার এমন একটি ওয়ার্ড থেকে আমি প্রার্থী হয়েছি, যেখানে আগের পুরপিতা তথা বোরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ এলাকাকে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন। তাই মানুষের আশীর্বাদে আমি নির্বাচিত হলে, এবার তাঁর সাজানো বাগানে নতুন মালির কাজ করব। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের মানুষের জন্য উন্নয়ন করেছেন, তাতে মানুষ আমাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে দু’হাত তুলে যে আশীর্বাদ করবেন, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।”

ভোটের ময়দানে এই প্রথম হলেও রাজনীতিতে তিনি নতুন নয়। লিপিকা জানালেন, “১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপিতার সঙ্গে থেকে মানুষের কাজ করেছি। এবার আমি নিজেই প্রার্থী। এই ওয়ার্ডের মানুষ আমাকে চেনেন।”

লিপিকা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা এবং রবীন্দ্রভারতী থেকে নিত্যশিক্ষার গন্ডি পেরিয়েছেন। নৃত্যের জন্য সম্মানিত হয়েছেন কলাক্ষেত্র পুরস্কারে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষাদানের পর ২০১৫ সালে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লিপিকার অদম্য উৎসাহ, লড়াকু মনোভাব, জীবনের প্রতি পদক্ষেপে তাঁকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এলাকার একাধিক দুঃস্থ মেধাবী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন লিপিকা। একইসঙ্গে মহামারী হোক কিংবা আমফান, নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ছুটে গিয়েছেন কখনও মেদিনীপুর, কখনও সুন্দরবন। এবার তপশিলি সংরক্ষিত কলকাতা পুরসভার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে তাই তৃণমূলের বাজি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লিপিকা।

 

Previous articleপ্রতীক্ষার অবসান! ১২ ডিসেম্বরই মুক্তি পেতে চলেছে হুগলির সাঁওতালী কন্যার গান,’জুদাইয়া বে’
Next articleBear: অবশেষে মালবাজারে ধরা পড়ল সেই ভালুক, আতঙ্ক কাটছে না এলাকাবাসীর