প্রতীক্ষার অবসান! ১২ ডিসেম্বরই মুক্তি পেতে চলেছে হুগলির সাঁওতালী কন্যার গান,’জুদাইয়া বে’

চাঁদমণি হেমব্রম। বয়স ১৫ বছর। বাড়ি হুগলি জেলার চুঁচুড়া মহকুমার পাণ্ডুয়া থানার ইটাচুনা খন্যান গ্রাম পঞ্চায়েতের মুল্টি গ্রামে। তালিম ছাড়াই ঝাঁ-চকচকে শহুরে পেশাদার স্টুডিয়োয় ডাক পাওয়ার গল্পটা যেন রূপকথা! সাঁওতালি মেয়ে তাঁর নিজের প্রতিভাতে সোশ্যাল মিডিয়া ছেড়ে ঢুকে গেল রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে। আগামী ১২ ডিসেম্বরই মুক্তি পাচ্ছে তাঁর গাওয়া গান ‘জুদাইয়া বে’।গানটিতে সুর দিয়েছেন বিখ্যাত মিউজিক ডিরেক্টর আয়েশান আদ্রি। এর আগে একাধিক নিজের সুর করা গান গেয়ে ইন্ডাস্ট্রতে খ্যাতি অর্জন করেছেন আয়েশান।

আরও পড়ুন:Nadia: শিল্পস্থাপনে নদিয়ার পর্যটনে জোর, দ্রুত নবদ্বীপ-মায়াপুর সংযুক্তিকরণে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

পান্ডুয়া খন্যানের মুল্টি গ্রামের আদিবাসী কিশোরী চাঁদমণি হেমব্রমের গাওয়া দু’টি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। একটি রবীন্দ্রনাথের ‘সখী, ভাবনা কাহারে বলে’, অন্যটি সঙ্গীতশিল্পী নেহা কক্করের গাওয়া ‘ও হমসফর’।তালিম না-থাকা সত্ত্বেও চাঁদমণির গান গাওয়ার অনায়াস ভঙ্গি খুব পছন্দ হয় সকলের। নেট-দুনিয়ার নাগরিকেরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মেয়েটিকে। এক নিমেষে যেন চাঁদমণির জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। প্রথমে সাঁওতালি ও বাংলা গান রেকর্ড করেন চাঁদমণি। এর পরই ডাক আসে হিন্দি গান গাওয়ার। যোগাযোগ করেন সুরকার আয়েশান আদ্রি।  পাঞ্জাবের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও কম্পোজার আয়েশান আদ্রির নির্দেশে বর্ধমানের একটি স্টুডিয়োতে গিয়ে একটি হিন্দি গান রেকর্ড করে চাঁদমণি।

সাত বছর আগে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন চাঁদমণির বাবা।মা আর দুই ছোট বোনকে নিয়ে চাঁদমণির পরিবার। মায়ের সঙ্গে মাঠে ধান রোয়া, ধান কাটা-সহ সব কাজে সঙ্গী দশম শ্রেণির ছাত্রী চাঁদমণিও। মামারবাড়ি পাশেই।মামার মোবাইলেই গান শুনে চর্চা চলে চাঁদমণির। তার সেই গান শুনেই গত মাসে ত্রাণ বিলি করতে আসা শ্যাম হাঁসদা নামে এক আদিবাসী যুবক মোবাইলে রেকর্ড করে তা ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়।  আর সেই গান শুনে দুর্গাপুরের বাসিন্দা চিরঞ্জিৎ ধীবর ১২ মে নিজের ফেসবুকে ও ইউটিউবে পোস্ট করেন। তারপরেই তা ‘ভাইরাল’।এখন চাঁদমণির গান শুধু রিলিজের অপেক্ষা। তার জন্য প্রহর গুণছে গোটা বাংলা।


Previous articleদাবি মানলো সরকার, এক বছরের আন্দোলন থামিয়ে শনিবার ঘরে ফিরবেন কৃষকরা
Next articleKMC 107: এবার তৃণমূলের বাজি বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী লিপিকা