M17-v5: শেষপর্যন্ত পাওয়া গেল M17-v5 হেলিকপ্টারটির ব্ল্যাক বক্স

ভারতীয় বায়ুসেনার সবচাইতে নির্ভরযোগ্য M17-v5 হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কীভাবে?

গতকাল বেলা ১২টার কিছু পরে কুন্নুরে ভেঙে পড়েছিল দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াতের এমআই সেভেন্টিন ভি ফাইভ কপ্টার।  এরপরেই প্রশ্ন ওঠে, ভারতীয় বায়ুসেনার সবচাইতে নির্ভরযোগ্য M17-v5 হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল কীভাবে?

তথ্য বলছে, হাজার মিটার উচ্চতাই হোক বা নিশ্চিদ্র রাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জন্য এলিট বাহিনীকে সীমান্তের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়া সমস্ত রকম প্রতিকূলতা সত্বেও উড়তে সক্ষম বায়ুসেনার এই বিশেষ হেলিকপ্টার।

স্থানীয় পর্যটকের তোলা কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, আকাশে ঘন কুয়াশা। তার মধ্যে পাক খাচ্ছে কপ্টারটি। মেঘের ফাঁকে তা হারিয়ে যাচ্ছে ঘনঘন।

তাই স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি খারাপ আবহাওয়াই এই দুর্ঘটনার কারণ? বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা তেও ওই এলাকায় ঘন কুয়াশা দেখা গিয়েছে। নাকি কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কপ্টারটিতে? তা জানতে খোঁজ চলছিল ব্ল্যাক বক্সের। শেষপর্যন্ত, পাওয়া গিয়েছে ব্ল্যাক বক্সটিও।

কী এই ব্ল্যাক বক্স?

এই বক্স আসলে দুটি কমলা রঙের মেটালিক বাক্স। যার মধ্যে থাকে রেকর্ডার। ১৯৫০ সাল থেকে এই বক্স ব্যবহার করা চালু হয়। কোনও বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে ঠিক কী কারণে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা আগে বোঝা সম্ভব হত না তদন্তকারীদের পক্ষে। দুর্ঘটনার আগের মুহুর্তে বিমানে কী হয়েছিল তাও জানা সম্ভব ছিল না। তাই এই ‘ব্ল্যাক বক্স’ ব্যবস্থা রাখা হয় বিমানে।

প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমানের ভেতরের সমস্ত ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের কবলে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা থাকে ব্ল্যাক বক্সে।

তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক সীমানায় নীলগিরি পাহাড়ে গাছে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার MI-17 কপ্টারটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার আগেই তাতে আগুন ধরে যায়। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বায়ুসেনার অত্যাধুনিক কপ্টার। মাটি থেকে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল আগুনের শিখা।

দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে খোঁজ চলছিল ব্ল্যাক বক্সের।সব প্লেনেই দু’রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটা হল- ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং অপরটি হল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়।

Previous articleBar Association Election: তৃণমূলের জয়জয়কার, সভাপতি পদে জয়ী কংগ্রেসের অরুণাভ
Next articleUEFA Champions League: উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অঘটন, গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল বার্সা