প্রথমে রোম, তারপর নেপাল- ফের পরশ্রীকাতরতার চরম নিদর্শন কেন্দ্রের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay) সফর আটকে দিল বিদেশমন্ত্রক। ১০-১২ ডিসেম্বর নেপালের (Nepal) কাঠমান্ডুতে নেপাল জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। এর আগে রোমের পাশাপাশি মমতার চিন সফরের ছাড়পত্র দেয়নি বিদেশমন্ত্রক।

আরও পড়ুন:পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখে পৃথক দল থেকে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই ভাইয়ের
নেপালের কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। শুক্রবারই তাঁর কাঠমান্ডু যাওয়ার কথা ছিল। এই ধরনের আমন্ত্রণ পেলে কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিদেশমন্ত্রকের থেকে তার ছাড়পত্র নিতে হয়। কিন্তু সেই ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্র। তবে কী কারণে এই সিদ্ধান্ত- তা জানাতে পারেনি বিদেশমন্ত্রক (External Affairs Ministry)।
এর আগে এই বছরই 6 অক্টোবর রোমে (Rome) এই রোমের সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভারত থেকে একমাত্র তাঁকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কিন্তু বিদেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় তখন রোম যেতে পারেননি মমতা। তার আগে চিন সফরে যাওয়ার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
বারবার কেন্দ্রের এই ধরনের বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণের তীব্র নিন্দা করেছে সব মহল। বিদেশে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণ পাওয়া শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেসের (Tmc) কাছেই নয়, বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্ব বাড়ত, তেমনই বাংলার বর্তমান উন্নয়নের কথা সেখানে আলোচিত হত। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সবক্ষেত্রেই বাংলার সঙ্গে বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ করে। বৈষম্যের কারণে এই অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
