পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখে পৃথক দল থেকে পুরভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দুই ভাইয়ের

সিনহা বাড়ি দুই পুত্রের এই রাজনৈতিক লড়াই এখন হয়ে উঠেছে প্রতিবেশীদের চর্চার বিষয়

বাড়িতে ভাতৃত্বের বন্ধন, একান্নবর্তী পরিবার। অথচ বাড়ির দরজা পার হলেই তারা যুযুধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। আলাদা প্রতীক, আলাদা দল। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে(KMC Election) একজন দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের(TMC) প্রতীকে অন্যজন বিজেপির(BJP)। সিনহা বাড়ি দুই পুত্রের এই রাজনৈতিক লড়াই এখন হয়ে উঠেছে প্রতিবেশীদের চর্চার বিষয়। যদিও সিনহা বাড়িতে এই ঘটনা অবশ্য পারিবারিক পরম্পরা।

সিনহা বাড়ির বড় ছেলে রাজেশ সিনহা ২৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে। অন্যদিকে ছোট ছেলে রাজীব সিনহা প্রার্থী হয়েছেন ৪১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির টিকিটে। দুই ভাইয়ের এহেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা ঘরের বাইরে চর্চার বিষয় হয়ে উঠলেও রাজনীতিকে বাড়ির চৌকাঠের বাইরে রেখেছেন দুই ছেলে, দুই বউমা, নাতি-নাতনিদের নিয়ে সুখের সংসার করা রাজেশ-রাজীবের মা আশাদেবী। দুই ছেলেকে নিয়ে রীতিমতো গর্বিত আশা দেবী বলেন, ‘ওরা পারিবারিক পরম্পরা বজায় রেখেছে।’ আশাদেবীর স্বামী ছিলেন আদ্যোপান্ত কংগ্রেস নেতা। হয়েছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক। তিনি প্রয়াত। কিন্তু তাঁর ফ্ল্যাটের দরজায় এখনও জ্বলজ্বল করছে অনয়গোপাল সিনহার নেমপ্লেট। নীচে লেখা ‘এক্স এমএলএ’। অন্যদিকে, ভাশুর জনতা দল করতেন। দু’বার জোড়াসাঁকো কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:KMC 108: ১০৭-এর পর এবার সুশান্তর আলোয় আলোকিত হতে চায় ১০৮

যদিও দুই ছেলে দুটি আলাদা দল করলেও মা আশা দেবী কোন দলের সমর্থক? কাকেই বা ভোট দেবেন তিনি? সাবধানী আশা দেবী বলেন, “দুই ছেলে দুই ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এটাই রক্ষে! না হলে একজনকে বাছতে হলে বিড়ম্বনায় পড়তে হতো। আমি চাই, ওরা দু’জনই জিতুক। সেটাই চাই”। পাশাপাশি এই প্রতিদ্বন্দিতা প্রসঙ্গে রাজেশ বলেন, “ছোটবেলা থেকে বাবা ও জেঠুকে দেখে বড় হয়েছি। ওঁরা দু’জন দুই দলের সদস্য হলেও পরিবারে তার প্রভাব পড়েনি। আমরা সেভাবেই এগিয়ে চলেছি।” এক সুর রাজীবের গলাতেও। বললেন, “পরিবার আর রাজনীতি— দু’টি আলাদা জায়গা। রাজনীতির আলোচনা সদর দরজার ওপারে। এপারে পুরোটাই কমফোর্ট জোন।”

 

Previous articleকাকভোরে গুলি চলল রিজেন্ট পার্ক এলাকায়, জখম ২
Next articleদেশে ফের বাড়ল করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা, সুস্থ হচ্ছেন ওমিক্রন আক্রান্তরা