Murder:বাঁশদ্রোণী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ২, অভিযুক্ত নিহতর ভাইয়ের স্ত্রীও

সোনালি পার্কের বাড়িতে রাজীবকে ডেকে আনেন ললিতাই। এর পর সেখানে বসে মুকেশকে খুনের পরিকল্পনা করেন দু’জনে।

বাঁশদ্রোণী(Basdroni) খুনের ঘটনায় নয়া মোড়! সপ্তাহখানেকের মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ল চক্রের মূল পাণ্ডা। মুকেশ সাউয়ের খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর ভাই সঞ্জয় সাউয়ের স্ত্রী ললিতা সাউকে।এছাড়াও বিহার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজীব কুমার নামক এক ব্যক্তিকে। রাজীব নিহত ব্যক্তির ভাইয়ের স্ত্রীর ‘প্রেমিক’ বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিশ।যদিও মুকেশকে ঠিক কে খুন করেছিল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। ধৃতদের সোমবার আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: ৩ দিনের সফরে গোয়ায় মমতা, একাধিক জনসভা-সহ ঠাসা কর্মসূচি

রবিবার রাজীবকে বিহারের (Bihar) বাঁকা জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রাজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ললিতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানতে পারেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। এর পর ললিতাকেও জেরা করেন তাঁরা। তদন্তকারীদের দাবি, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেন ললিতা। এর পর সোমবার সকালে তাঁকেও গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত সাত তারিখ বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কে(Sonali Park) নিজের বাড়ির সামনের থেকে মুকেশ সাউ (৪৩) নামে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন তাঁর ভাই সঞ্জয় সাউ। মৃতের ডান হাতে একটি ছুরি ধরা ছিল। এছাড়াও তাঁর কাঁধে ও গলায় কোপানোর চিহ্ন ছিল বলে জানান সঞ্জয়। মুকেশকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। এরপরই খুনের কিনারা খুঁজতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

তদন্তের জন্য বিহারেও যেতে হয় তদন্তকারীদের। পুলিশের দাবি, রাজীবের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলার পর থেকে ললিতাকে ব্ল্যাকমেল করছিলেন মুকেশ। তদন্তকারীদের কাছে এমন দাবি করেছেন রাজীব। ৭ ডিসেম্বর ঘটনার দিন সোনালি পার্কের বাড়িতে রাজীবকে ডেকে আনেন ললিতাই। এর পর সেখানে বসে মুকেশকে খুনের পরিকল্পনা করেন দু’জনে। তবে মুকেশকে কে বা কারা খুন করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

Previous articleওমিক্রন আক্রান্ত নন ব্রিটেন ফেরত কোভিড পজিটিভ রোগী
Next articleগো-মাতাকে বাঁচাতে হাতে তলোয়ার রাখুন, বিতর্ক বাড়িয়ে হিন্দুদের পরামর্শ VHP নেত্রী সাধ্বীর