২৯ নভেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন(winter session) শুরু হয়েছে। অধিবেশনের শুরুতেই কৃষক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের চাপের কাছে মাথা নুইয়ে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে মোদি সরকার(Modi government)। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর সংসদের কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই চলছে। বিরোধীরা বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) পক্ষ থেকে প্রতিদিনই মোদি সরকারের কাছে রাখা হচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই বেরিয়ে আসছে নরেন্দ্র মোদি সরকারের অন্তঃসারশূন্যতা। বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই দেখা যাচ্ছে মোদি সরকার দৈনন্দিন কার্যকলাপ পরিচালনার ক্ষেত্রও সম্পূর্ণ ব্যর্থ।
সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় জানতে চান, পরবর্তী তিন বছরে সরকার কোন কোন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেসরকারিকরণ বা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এই বিলগ্নিকরণ থেকে সরকারের কোষাগারে কী পরিমাণ টাকা আসবে?
তৃণমূল সাংসদের এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভগৎ কৃষ্ণরাও কারাড বলেন, ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৬ টি রাষ্ট্রায়ত্ত বা তাদের অধীনস্থ সংস্থায় কৌশলগত বিলগ্নীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত সমস্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণ করে সরকারের ঘরে কী পরিমাণ অর্থ আসবে সেটা বাজার এবং নিলামে অংশ গ্রহণকারীদের দেওয়া দরের উপর নির্ভর করছে।
আরও পড়ুন:Abhishek In Goa: এজেন্সির ভয়ে বিজেপির কাছে মাথা নোয়াবে না তৃণমূল: তোপ অভিষেকের
সরকার যে সমস্ত ব্যাংক বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার নামগুলিও জানিয়ে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কারাড।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে সমস্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া চলছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংস্থা হল ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কোম্পানি লিমিটেড, সেন্ট্রাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, শিপিং কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, কন্টেইনার কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া, নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেড, রাষ্ট্রীয় ইস্পাত নিগম লিমিটেড, পবন হংস লিমিটেড, এয়ার ইন্ডিয়া এবং তার পাঁচটি অধীনস্থ সংস্থা, আইডিবিআই ব্যাঙ্ক প্রভৃতি। যার মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে।
কয়েকটি সংস্থার বিলগ্নিকরণ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রকে আলোচনা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড, হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিক লিমিটেড, বেঙ্গল কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্মাকিউটিক্যালস লিমিটেড। দুটি ক্ষেত্রে মামলার জন্য বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া আটকে আছে। এই দুটি সংস্থা হল হিন্দুস্থান নিউজপ্রিন্ট লিমিটেড এবং কর্নাটক অ্যান্টিবায়োটিক ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
নানাবিধ কারণে কয়েকটি সংস্থার বিলগ্নিকরণের বিষয়টি আটকে রয়েছে। এই সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে স্কুটার ইন্ডিয়া লিমিটেড, ভারত পাম্প অ্যান্ড কম্প্রেসর লিমিটেড, সিমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া প্রভৃতি।
পাশাপাশি যে সমস্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে সেগুলিও নামও জানিয়েছেন মন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড, রুরাল ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন লিমিটেড, এইচএসসিসি লিমিটেড, কামরাঝাড় পোর্ট লিমিটেড প্রভৃতি।