বিজেপির তল্পিতল্পা গোটানোর সময় হয়ে গিয়েছে,পুরভোটের প্রচারে কটাক্ষ পার্থর

সোমবার দলীয় প্রার্থীর প্রচার পা মেলালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়

দরজায় কড়া নাড়ছে কলকাতা পুরভোট। আর তারই প্রচারে কোমর বেধে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। সোমবার দলীয় প্রার্থীর প্রচার পা মেলালেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল যখন ১৪৪ টি আসনে জয়ের কথা বলছে তখন বিরোধীরা মাত্র ১০ টি আসনকে টার্গেট করে মাঠে নেমেছে।এটা কি তৃণমূলকে ওয়াকওভার দিয়ে দেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তরে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, যারা কাজ করবে তারাই জিতবে। মানুষ কাজের লোককে সবসময় সমর্থন করে। এখানে ওয়াকওভার এর কোনও প্রশ্নই নেই।

এরই পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রাম স্টাইলে ধর্মের উস্কানি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, শুভেন্দু হাস্যকৌতুক নেতায় পরিণত হয়েছে। ওকে হাস্যকৌতুক নেতা হিসেবে বেশি মানায় ।যার বাস্তবের সঙ্গে কোনও যোগ নেই, মানুষের সঙ্গে কোনও যোগ নেই, তার এই কথার কোন মানেই হয়না। শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের মন রাখতে ভুল বকছে।
সিঙ্গুরে বিজেপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে পার্থর কটাক্ষ, তৃণমূল কোনওদিনই টাটাদের বিপক্ষে ছিল না। আমরা বলেছিলাম বহুফসলি জমি নষ্ট করে শিল্প যাতে না হয়। আমরা শিল্প চাই, বহুফসলি জমিও চাই, মানুষের কর্মসংস্থান চাই। এরআগেও ওরা বলেছিল ২০০ টা আসন পাবে। কিন্তু ওদের গঙ্গা প্রাপ্তি ঘটেছে।বাংলার মানুষ গঙ্গা পার করিয়ে দিয়েছে। এবার ওদের তল্পিতল্পা গোটানোর সময় হয়ে গিয়েছে।

বাংলা মানুষকে ভিখারি মন্তব্যে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য প্রসঙ্গে পার্থর স্পষ্ট জবাব, তিনি বাংলায় রাজনীতি করবেন আবার বাংলার মানুষকে ভিখারি বলবেন। আসলে ওনার মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস শুধুমাত্র ত্রিপুরা নয় গোয়া, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ বাংলার এই মডেল সর্বত্র গৃহীত হচ্ছে, বিশ্ববন্দিত হচ্ছে। কে কী বলল তা নিয়ে আমরা ভাবি না।

হঠাৎই পুরভোটের প্রচারে বিজেপির বর্তমান সভাপতি, প্রাক্তন সভাপতির ময়দানে নামা প্রসঙ্গে এবং ধর্মের উস্কানি দেওয়া মন্তব্য প্রসঙ্গে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাফ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করেছেন।এখনও এখানে এখানকার মানুষ যে সম্প্রীতি নিয়ে বসবাস করে সেখানে ধর্মের উস্কানি দিয়ে সেই সম্পর্ককে নষ্ট করা যাবে না। যারা এই ধরনের কথাবার্তা বলে তারা সংবিধানবিরোধী। বাংলার মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।এমনকি রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ পার্থ বলেন, পদ্ম শিবিরের লোক না হলেই বেশি ভালো হতো।

Previous articleMamata in Goa: তৃণমূলই বিজেপির বিকল্প শক্তি: লড়াইয়ের স্লোগান বেঁধে বার্তা মমতার
Next articleRavi Shastri: আত্মজীবনীতে সোজাসাপটা রবি শাস্ত্রী, গেলেন না কোন বিতর্কে