গত কয়েকদিন ধরে দেশজুড়ে ওমিক্রন আতঙ্ক শুরু হয়েছে। প্রতিনিয়তই বাড়ছে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। এ রাজ্যেও প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ইতিমধ্যেই সংক্রমিত ৭ বছরের ওই বালক ও তাঁর মাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডের ‘আইসোলেশন রুম’-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারপরেই জোরকদমে প্রস্তুতি শুরু করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ওই বালকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীলই রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি জানান, বালকের বাবা ও ১১ বছরের দিদিকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিমান-সহ শেষ তিন দিনে আক্রান্ত বালকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:Omicron: ওমিক্রন নিয়ে আতঙ্কিত হবেন না, তবে সতর্ক থাকুন: মমতা

গত ১২ ডিসেম্বর মালদহের একটি বেসরকারি ল্যাব থেকে ওই বালক ও তাঁর বোনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছিল। তাতে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। পরে সাত বছরের ওই বালকের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়তেই তার মা, বাবা, ঠাকুমার কোভিড পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁদেরও জিন পরীক্ষা করা হবে।আপাতত তাঁরা সকলেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
রাজ্যে ওমিক্রনের অনুপ্রবেশে কী পদক্ষেপ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর? স্বাস্থ্য ভবনের মুখ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন,ওই বালকের পরিবার ছাড়াও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। যেহেতু বালকটি হায়দরাবাদে থেকে কলকাতা হয়ে মুর্শিদাবাদ পৌঁছেছে তাই সে ও তার পরিবার কোন পথে ও কোন রুটে কীভাবে যাতায়াত করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইমতো সেই নির্দিষ্ট রুটে ওই বালকটির আশেপাশে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সম্ভাব্য একটি তালিকা তৈরি করে করোনা পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও, বালকটির বাড়ির আশেপাশে ও সেই এলাকাটিও চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানকার মানুষদেরও পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কনট্যাক্ট ট্রেসিং করে ওই বিমানে থাকা ৩৭ জনের নামের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলেছে স্বাস্থ্য দফতর। ওই ৩৭ জনের মধ্যে অন্তত ২৭ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। তাঁদের সকলকেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ওই ২৭ জনের মধ্যে ১৬ জন পশ্চিমবঙ্গেরই বাসিন্দা। চার জন হায়দরাবাদ, এক জন বেঙ্গালুরু, তিন জন মণিপুর, এক জন মেঘালয় ও এক মিজোরামের। বাকি ১০ জন যাত্রীর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।