‘মা ক্যান্টিন’ নিয়ে জবাব তলব রাজ্যপালের, উত্তর বিধানসভায় দেওয়া হবে: পাল্টা তৃণমূল

ফের একবার নয়া ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব রাজ্যপাল

ফের একবার নয়া ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠতে দেখা গেল রাজ্যপাল(Governor) জগদীপ ধনকড়কে(Jagdeep Dhankar)। এবার করোনাকালে তৃণমূল সরকারের তরফে চালু করা মা ক্যান্টিনের হিসেব চেয়ে অর্থ দপ্তরের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখলেন ধনকড়। ৭ দিনের মধ্যে তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। যদিও পাল্টা তৃণমূলের(TMC) তরফে জানানো হয়েছে, হিসেব-নিকেশ সংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন- উত্তরের জন্য বিধানসভা(Assembly) হয়েছে। এটা রাজ্যপালের দেখার বিষয় নয়। আরো একবার পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ ও অবান্তর প্রশ্ন করছেন উনি।

শনিবার রাজ্যের অর্থসচিবকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মা ক্যান্টিনের উদ্বোধনের পর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই প্রকল্পের খরচ কোথা থেকে এসেছে? এক সপ্তাহের মধ্যে তার হিসেব দিতে হবে। শনিবার সকালে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেছেন তিনি। যেখানে তার অভিযোগ, অসাংবিধানিকভাবে এই প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যপাল লিখেছেন, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১-২২ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে মা ক্যান্টিনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই খরচের মেয়াদ ছিল ১ এপ্রিল ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত। অথচ বিভিন্ন সূত্র থেকে ও সাধারণ মানুষের থেকে তথ্য সংগ্রহ করে দেখা গিয়েছে ২০২১-এর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে এই ক্যান্টিন চালু হয়েছে। তাহলে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ এই দেড় মাস এই প্রকল্প চালানোর খরচ কোথা থেকে কে দিল?

আরও পড়ুন:KMC Election: পুরভোটে অশান্তি রুখতে তৎপর পুলিশ, শহরজুড়ে নাকা তল্লাশি

তবে রাজ্যপালের এই প্রশ্নকে পুরোপুরি পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ ও অবান্তর প্রশ্নে দৃষ্টান্ত বলে অভিযোগ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “খরচের হিসেব-নিকেশ দেখার জন্য বিধানসভা রয়েছে। বিধানসভায় এই সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন উঠলে সরকার অবশ্যই তার জবাব দেবে। এই সকল বিষয় রাজ্যপালের দেখার বিষয় নয়। উনি চিঠি দিয়েছেন, সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে জবাব দেবে। তবে রাজ্যপালেন এহেন আচরণ পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ এবং অবান্তর প্রশ্নের আরো একটি দৃষ্টান্ত রাখলেন তিনি।” পাশাপাশি রাজ্যপালের বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। এই সময় বিজেপির হয়ে কুৎসা করতে নেমেছেন তিনি। উনি আসলেই বিজেপির দালাল। প্রচারের সময় শেষ হওয়ার পর বিজেপির প্রচারক হয়ে কাজ করছেন।”

Previous articleHabas: হারের জের, এটিকে মোহনবাগানের কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন হাবাস
Next articleSc EastBengal: দলের খেলায় অসন্তুষ্ট লাল-হলুদ কোচ মানোলো দিয়াজ