Friday, December 5, 2025

জেলার বিধায়কদের এনে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা বিজেপির, আটকে দিল প্রশাসন

Date:

Share post:

পুরভোট চলছে কলকাতা(Kolkata)। জারি ১৪৪ ধারা। এমন দিনেই জেলার বিধায়কের শহরে এনে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপির(BJP) বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল রাজ্য পুলিশ। রবিবার ভোট চলাকালীন এমএলএ হোস্টেলের(MLA hostel) উপস্থিত থাকা বিজেপি বিধায়ক বাইরে বের হতে দিল না কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়করা। এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছে তারা অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত বিজেপি বিধায়ককে বৈঠকের জন্য এদিন নিজের বাড়িতে ডেকেছিলেন পরিষদীয় দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকে যোগ দিতে শনিবার এমএলএ হোস্টেলে এসে উঠেছিলেন ৮ বিধায়ক। সকালে তারা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাদের আটকায় পুলিশ। নির্বাচনের দিন যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য এমএলএ হোস্টেলের গেটে তালা দিয়ে দেওয়া হয়। ফলস্বরূপ বাইরে বের হতে পারেননি বিধায়করা। এ ঘটনায় হোস্টেলের গেটের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই ৮ বিজেপি বিধায়ক। পাশাপাশি অন্যান্য বিধায়করা শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে বৈঠকে যোগ দিলে অশান্তির আঁচ করে তার বাড়ির বাইরেও উপস্থিত থাকতে দেখা যায় প্রচুর পুলিশকে। তবে পুলিশের এহেন ব্যবহারে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়করা। ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যপালের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানোর। বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক সেরে সন্ধ্যায় বাড়ির বাইরে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখা যায় শুভেন্দুকেও। পাশাপাশি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এমএলএ হোস্টেলের গেটের তালাও খুলে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন:Suchetana: শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ: মাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট দিয়ে বললেন বুদ্ধদেব-কন্যা সুচেতনা

এ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ যদি এহেন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তাহলে তা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য। কারণ নির্বাচন চলাকালীন জেলা থেকে সমস্ত বিধায়করা কলকাতায় এসে জড়ো হওয়াটা স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহজনক। ১৪৪ ধারা জারি করেছে শহরে। এই পরিস্থিতিতে জেলা থেকে এসে ওই বিধায়করা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারেন। ফলে পুলিশ যদি অশান্তি এড়াতে এমন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। পাশাপাশি নির্বাচনের দিনেই কেন শুভেন্দু অধিকারী জেলার বিধায়কদের শহরের ডেকে পাঠালেন বৈঠকের জন্য, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় তৃণমূলের তরফে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, কেন নির্বাচনের দিন জেলার বিজেপি বিধায়করা জড়ো হবেন। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই জমায়েত হয়েছিল। প্রশাসনের উচিত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করার।

spot_img

Related articles

কুণালে হাত ধরে ‘অরণ্যবহ্নি রানি শিরোমণি’ বইয়ের প্রচ্ছদ প্রকাশ

তাঁর লেখা 'রানি সাহেবা' বইয়ের মাধ্যমে চুয়াড় বিদ্রোহের নেত্রী রানি শিরোমণিকে আবার পাদপ্রদীপের নিয়ে এসেছিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা...

বাংলা সম্পর্কে সংসদে অসত্য বলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী! তীব্র ধিক্কার দোলাদের

রাজ্যসভায় সেন্ট্রাল এক্সাইজ অ্যামেন্ডমেন্ট বিলের উপর আলোচনার শেষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হল।...

সন্দেশখালি কাণ্ডে আরও চাপে শেখ শাহজাহান! হাইকোর্টে বিস্ফোরক রিপোর্ট সিবিআইয়ের

আরও বিপাকে সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা। কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া সিবিআই–এর সর্বশেষ অনুসন্ধানী রিপোর্টে দাবি করা...

আর জি কর চিকিৎসক অনিকেত মামলায় নতুন মোড়! সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের এসএলপি

আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ অনিকেত মাহাতোর যোগদান সংক্রান্ত মামলায় নয়া মোড়। আগামী ৮ই ডিসেম্বর এই...