বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে যাওয়া নোবেলজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু(Archbishop Desmond Tutu) মৃত্যুতে শোকাহত গোটা বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকা(South Africa) বাসিন্দা আর্চবিশপ ছিলেন কন্ঠহীনের কণ্ঠস্বর। শুধুমাত্র বর্ণবিদ্বেষ নয় সমলিঙ্গের সমানাধিকারের দাবিতে তার লড়াই নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা পৃথিবীকে। ৯০ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এই আন্দোলনকারী। তাঁর প্রয়াণে রবিবার শোকবার্তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।
Archbishop Desmond Tutu was the voice of the voiceless. He played a key role in steering society towards better days and held a special place in the hearts of people across the world.
I deeply mourn his demise and offer my deepest condolences to his family and followers.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) December 26, 2021
ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে রবিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু ছিলেন কণ্ঠহীনের কণ্ঠ। তিনি সমাজকে উন্নত দিনের দিকে চালনা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং সারা বিশ্বের মানুষের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করেছিলেন।” মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত এবং তার পরিবার ও অনুসারীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।”
৯০ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডেসমন্ড টুটু। তাঁর আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী অহিংসা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। এমনকি সমলিঙ্গ মানুষদের অধিকারের জন্যও লড়াই করেছেন। যুক্ত ছিলেন তাঁদের আন্দোলনের সঙ্গে।
১৯৮৪ সালে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার পান তিনি। তবে এই মহান ব্যক্তির শরীরে বাসা বাঁধে মারণ রোগ ক্যান্সার। তবুও তাঁকে গৃহবন্দি করা যায়নি। ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াইয়ের পাশাপাশি লড়াই করেছেন সমাজের উপেক্ষিত মানুষদের জন্য। সারা বিশ্বে তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও কম নয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত তাঁরা।
আরও পড়ুন- Belur Math:রামকৃষ্ণ মিশনের ১২৫ বছর পূর্তিতে বেলুড় মঠে আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী