অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি, এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন আরও ৪ বিধায়ক

লাগাতার ‘বিদ্রোহে’ রীতিমতো বেহাল অবস্থা রাজ্য বিজেপির(BJP)। সম্প্রতি মতুয়া সংগঠনের প্রতিনিধি পাঁচ বিজেপি বিধায়কের হোয়াটসঅ্যাপ ত্যাগের পর এবার দলের রাজ্য এবং জেলার বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার (Bankura) চার বিজেপি বিধায়ক। জানা গিয়েছে, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর দুটি সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন ওই চার বিজেপি বিধায়ক।

শনিবার বিজ্ঞপ্তি পেশ করে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি এই দুটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করে রাজ্য বিজেপি। এরপরই একে একে গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। সূত্রের খবর, নয়া সভাপতি নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ওই চার বিধায়ক। নতুন সভাপতির হাতে দায়িত্ব উঠলে জেলার সংগঠন ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। তাই অবিলম্বে যোগ্য নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন ওই বিধায়করা। সব মিলিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্দ্বন্দ্ব আরো জোরালো হয়ে উঠেছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের দলীয় কোন্দল ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কমিটিতে মতুয়া সংগঠনের কোন প্রতিনিধিকে জায়গা না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ মতুয়ারা। ইতিমধ্যেই ৫ বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপির। এরা হলেন হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যানীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মকুটমণি অধিকারী, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। জল এত দূর গড়িয়েছে যে এ বিষয়ে জেপি নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমস্যা সমাধানের আর্জি জানাতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এবার অন্যান্য জেলাগুলিতেও বিজেপির ভাঙন দশা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

আরও পড়ুন- Vijay Hazare Trophy: বিজয় হাজারে ট্রফি চ‍্যাম্পিয়ন হিমাচল প্রদেশ

 

 

Previous articleনোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে শোকবার্তা মমতার
Next articleIndia Team: রাহুলের শতরানের ওপর ভর করে প্রথম দিনের শেষে চালকের আসনে ভারতীয় দল