TMC Candidate: আসানসোলে একাধিক চমক, চন্দননগরে রামেই আস্থা তৃণমূলের

একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জার্সি বদলে এখন বিজেপিতে

আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরনিগমের ভোটে (Corporation Election) সব পুরসভার জন্য পূর্ণাঙ্গ দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। আজ,শুক্রবার থেকে প্রার্থীরা একে একে তাঁদের মনোনয়ন জমা দেবেন। আসন্ন পুরভোটে রাজনৈতিক মহলের নজর থাকবে আসানসোলের (Asansol) দিকে। চারটি পুরনিগমের মধ্যে সবচেয়ে বড় এই আসানসোল পুরসভা। গত কয়েক বছরে এই এলাকায় অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ বদলেছে।

একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি জার্সি বদলে এখন বিজেপিতে। এখন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও গেরুয়া শিবির সম্ভবত জিতেন্দ্রকে মুখ করে পুরসভা ভোটে লড়তে চলেছে। যদিও রাজনীতিতে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়া জিতেন্দ্রকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তবে আসানসোলে বিজেপির একটা ভোট আছে। প্রবল মমতা ঝড়ের মধ্যেও আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় জিতেছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এখনও তৃণমূলের অধরা। যদিও টানা দু’বারের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এখন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল শিবিরে। জাব পুরনিগাম নির্বাচনের আগে ঘাসফুল শিবিরের কাছে অ্যাডভান্টেজ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সবমিলিয়ে ১০৬ ওয়ার্ডের আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত মিলছে।

আরও পড়ুন:ওমিক্রন সামলাতে কড়াকড়ি থাক, কিন্তু লকডাউন নয়

২০১৫ সালের শেষ নির্বাচনে নিজেদের দখলে থাকলেও কোনওরকম আত্মতুষ্টিতে না ভুগে তার পিছনে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল। বেশ সতর্ক হয়ে এবং কৌশলীভাবে আসানসোল পুরনিগমের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। আরেক প্রাক্তন মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়ক হয়েছেন। তিনি নিজেই পুরভোটে প্রার্থী হতে চাননি। তাই এবার আসানসোলে কোনও প্রাক্তন মেয়রকে টিকিট দেওয়ার সুযোগ ছিল না তৃণমূলের। বরং পশ্চিম বর্ধমানের এই শিল্পাঞ্চলের পুরভোটে অনেক বেশি নতুন মুখের ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রাজ্যের ছাত্র রাজনীতির পরিচিত মুখ তথা প্রাক্তন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের নেতা অশোক রুদ্রকে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন। ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ফের একবার তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হয়েছেন মন্ত্রী মলয় ঘটকের ভাই অভিজিৎ ঘটক। তিনি বিদায়ী পুরবোর্ডের মেয়র পারিষদ ছিলেন।

অন্যদিকে, হুগলির প্রাচীন শহর চন্দননগর পুরসভার ভোটে প্রাক্তন মেয়রের ওপরই আস্থা রেখেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী আবারও প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়াও ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪টিতে মহিলা প্রার্থী করেছে তৃণমূল।


Previous articleওমিক্রন সামলাতে কড়াকড়ি থাক, কিন্তু লকডাউন নয়
Next articleফিরে দেখা ২০২১: ক্রিকেট থেকে ফুটবলের স্মরণীয় মুহূর্ত, দলবদল থেকে অলিম্পিক্সে সোনা জয়