বিশ্বজুড়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তারই মধ্যে রয়েছে ওমিক্রন উদ্বেগ। আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। জানিয়ে দিলেন কলকাতার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। মঙ্গলবার এসএসকেএম-এর চিকিৎসকরা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আর সংশয় নেই, আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রয়েছি। এমতাবস্থায় জমায়েত বন্ধ করলেই তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
আরও পড়ুন:Kiff: কোভিডবিধি মেনেই হবে Kiff, নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার, অভিজিৎ চৌধুরী, অতিমারি বিশেষজ্ঞ যোগীরাজ রায় এবং চিকিৎসক কুণাল সরকারদের পরামর্শ তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার একমাত্র উপায় জমায়েত বন্ধ করা এবং মাস্ক পরা। যদিও তারপরও আশঙ্কা রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা।
এ দিন চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি অনেকটা প্রথম ঢেউয়ের পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন অর্থাৎ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা বয়স্ক মানুষদের শরীরে ভ্যাকসিনের ইমিউনিটি অনেকটাই কমে এসেছে। তাই কোভিড যোদ্ধাদের আবারও করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়েছে। সেই কারণেই প্রতিদিন ৫০-৬০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে তিনি বলেন, এখন থেকেই সাবধানে থাকলে ওমিক্রন-ঢেউ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। কিন্তু যদি লাগাম ছাড়া বেনিয়ম দেখা যায়, তাহলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা আগামী দিনই বলবে। হিসেব বলছে, এই মুহূর্তে যে পরিমাণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁর খুব সামান্যই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কিন্তু যদি নিয়মবিধি না মেনে চলি তাহলে পরিস্থিতি কী হবে কেউ জানে না।