মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তির নাটক? বাবু মাস্টারকে দেখতে গিয়েছিলেন নব্য বিজেপি নেতারা

মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে রাতের অন্ধকারে বাবু মাস্টারের উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে হাসনাবাদ-হিঙ্গলগঞ্জের কুখ্যাত বাবু মাস্টার ওরফে ফিরোজ কামাল গাজিকে ঢাল-ঢোল পিটিয়ে লাল কার্পেটে বরণ করে দলে যোগদান করায় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, একাধিক অসামাজিক কাজে অভিযুক্ত । বাবু মাস্টারকে কেন্দ্রের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র দফতর। প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে, এমন যুক্তি দেখিয়ে এ রাজ্যের গেরুয়া শিবিরের নেতারা কেন্দ্রের নিরাপত্তা দিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এমন এক সমাজ বিরোধীকে ভিভিআইপি নেতা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। উদ্দেশ ছিল, বসিরহাট সাংগঠনিক অঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ কয়েক করে রাজনীতির ফায়দা তোলা। যদিও সে গুড়ে বালি। বাবু মাস্টারের মত “রথী-মহারথী”দের দলে নিয়ে আদপে বিজেপি যে জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, সেটা একের পর এক নির্বাচনেই প্রমাণিত।

সেই বাবু মাস্টার বিধাননগর পুরনিগমের ভোটের ঠিক আগে শুক্রবার রাতে সল্টলেক যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে আগ্নেয়াস্ত্র সহ পুলিশের জালে ধরা দেয়। তার কাছে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। বাবু মাস্টারের ২ সঙ্গীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন আদালত বাবু মাস্টার ও তার সঙ্গীদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

কিন্তু ভোটের আগে কেন আগ্নেয়াস্ত্র সহ বিধাননগরে বাবু মাস্টার? যা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এরই মাঝে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে বিধাননগর পুলিশের হাতে।
বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে নিজের লোকেদের দিয়েই নিজের উপর হামলা চালিয়েছিল মূর্তিমান বাবু মাস্টার। মানুষের সহানুভূতি আদায় করতেই এমন পন্থা অবলম্বন করেছিল সে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় নাকি এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে বাবু মাস্টার। তবে কার বুদ্ধিতে বা অঙ্গুলিহেলনে এমনটা সে করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একের পর এক মিটিং-মিছিলে অর্জুন সিং-শুভেন্দু অধিকারী সহ তৎকাল দলবদলু নব্য বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একসারিতে হাঁটতে, মঞ্চ শেয়ার করতে দেখা গিয়েছিল বসিরহাট অঞ্চলের ত্রাস বাবু মাস্টারকে। সেই ছবি বারবার ফুটে উঠেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে। তার মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর বাসন্তী হাইওয়েতে রাতের অন্ধকারে বাবু মাস্টারের উপর দুষ্কৃতী হামলা হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাও ছোঁড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে সে সময়। হাসপাতালে তাকে দেখতেও ছুটে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং, শুভেন্দু অধিকারীরা। বাবু মাস্টারকে কেন্দ্র করে সেই সময় সহানুভূতির একটা বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি নেতারা।

তবে বাবু মাস্টারের উপর হামলার ধরণ দেখে তখনই সন্দেহ হয়েছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের। তাদের সন্দেহ যে ঠিক ছিল, এবার সম্ভবত সেটা এবার প্রমাণ হতে চলেছে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, গত বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বাবুমাস্টারের উপর হামলার ঘটনা ছিল একেবারেই পূর্ব পরিকল্পিত। তিনি হামলায় আক্রান্ত প্রমাণ করতেই, বাবু মাস্টার নিজেই সেই ছক কষেছিল। তদন্তে পুলিশের হাতে ধৃত অভিযুক্তরাও নাকিসে কথা স্বীকার করে বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন:কথা দিয়ে কথা রাখলেন বৃদ্ধা, লটারি জিতে বিক্রেতাকে দিলেন অর্ধেক পুরস্কার

Previous articleকথা দিয়ে কথা রাখলেন বৃদ্ধা, লটারি জিতে বিক্রেতাকে দিলেন অর্ধেক পুরস্কার
Next articleKolkata Police:থানায় গিয়ে নয়, হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেই জানানো যাবে অভিযোগ