সংক্রমণ বাড়ায় ফের ঘরে ফেরা শুরু পরিযায়ী  শ্রমিকদের

বাড়ছে সংক্রমণ, ফের অনিশ্চিত ভবিষ্যত।এই আশঙ্কায় আবার ঘরে ফেরা শুরু হলো পরিযায়ী  শ্রমিকদের। করোনার তৃতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার সঙ্গেই, বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে বিধি নিষেধ। বেশিরভাগ রাজ্যেই চলছে নৈশ কারফিউ। মঙ্গলবার থেকে রাজধানী দিল্লিতেও, বেসরকারি দপ্তরের কর্মীদের জন্য ১০০ শতাংশ “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”  ব্যবস্থা চালু হয়ে গেছে। একই অবস্থা রাজধানী সংলগ্ন রাজ্যগুলোতেও।

মঙ্গলবার থেকে হরিয়ানার ১৯ জেলায় সন্ধ্যে ছটার পর থেকে পরের দিন সকাল ছটা পর্যন্ত চালু থাকবে কারফিউ। বন্ধ কল-কারখানা, আবাসন শিল্পও । রাজধানী দিল্লি,গুরুগ্রাম,নয়ডা, ফরিদাবাদ,গাজিয়াবাদ সহ আশপাশের এলাকায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন আবাসন শিল্পে কল-কারখানায়।

করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতেই কোথাও শুরু হয়েছে কর্মী ছাঁটাই,কোথাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে কল কারখানা। যে সমস্ত জায়গায় এখনও কাজ চালু আছে ,সরকারি নির্দেশিকা মতো সেখানেও শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন “রোটেশন” মেনে। ফলে প্রতিদিন  তারা  কাজ পাচ্ছেন না। পরিবারের খরচ চালাতে,হিমশিম দিনমজুররা।

দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিভীষিকা এখন স্পষ্ট তাদের কাছে।  আর তাই নিজের  রাজ্যে ফেরার তাগিদে, সোমবার থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন,দিল্লির সরাই কালেখা,আনন্দবিহার,হরিয়ানার রাজিবচক,হিরোহোন্ডা চক, সেক্টরবারো সহ বিভিন্ন বাস ডিপোতে।

পরিবার পরিজন ও সম্বল সামান্য “সংসার” কে নিয়ে তারা অপেক্ষা করছেন নিজের রাজ্যে ফেরার বাস ধরার জন্য। বেশিরভাগ শ্রমিকই বাংলা,বিহার,মধ্যপ্রদেশ ওড়িশা থেকে আসা। প্রসঙ্গত,দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরার দৃশ্যটা রীতিমতো বাকরুদ্ধ করে দিয়েছিল দেশবাসীকে। একই অভিজ্ঞতা যাতে আর না হয়,সেই জন্য এখন থেকেই সাবধানী হয়ে শ্রমিকরা ভিড় জমিয়েছেন বাস ডিপো গুলোতে।

লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রণও। হাজার বিধিনিষেধের মধ্যেও এইভাবে গাদাগাদি করে বাসে চেপে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরা নিয়ে,যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারি কোনও বক্তব্য  সামনে আসেনি।হরিয়ানার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অশোক তানোয়ার  জানিয়েছেন,” গতবারের দৃশ্য মানুষের মনে এখনও স্পষ্ট। সরকারের উচিত কথা বলা। যাতে সেই দৃশ্য আবার না দেখতে হয়।”

Previous articleBJP: রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে পিকে-র টিমের যোগ! অমিতাভর মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক
Next articleIpl: আইপিএলে নতুন স্পনসর, জানালেন আইপিএলের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল