EXCLUSIVE: হঠাৎ গজিয়ে ওঠা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের খামখেয়ালি রিপোর্টে নাজেহাল রোগীরা

তিনমাসের পুত্রের স্টুল টেস্ট পরীক্ষা একেক জায়গায় একেক রকম। চিন্তায় অভিভাবকরা

বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে ওঠা প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলির খামখেয়ালি রিপোর্টের জন্য জীবন সংকটে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hoogli) কোন্নগর (Konnogar) কানাইপুরে। হুগলির বাসিন্দা সাংবাদিক সুমন করাতি (Suman Karati) এবং তাঁর স্ত্রী প্রিয়া করাতির (Priya Karati) তিনমাসের পুত্র সন্তান প্রিয়াংশুর (Priyanshu) কয়েকদিন ধরে পেটের সমস্যা হচ্ছিল। যার জন্য করাতি দম্পতি তাকে স্থানীয় চিকিসকের কাছে নিয়ে যান। তার স্টুল টেস্ট পরীক্ষা করানোর কথা বলেন চিকিৎসক। সেইমতো সুমন স্থানীয় দুটি ল্যাবরেটরি থেকে পুত্রের স্টুল টেস্ট করান। কিন্তু দেখা যায় দুটি রিপোর্টের মধ্যে বিস্তর ফারাক। ধন্দে পড়ে যান সুমন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ডাক্তারও রিপোর্ট দেখে বিস্মিত।

সুমনের অভিযোগ, এই সমস্ত প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলি মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এই সমস্ত ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা পরীক্ষাগারগুলির আদৌ আধুনিক পরিকাঠামো আছে কি না সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এদের ফলে ভুগতে হচ্ছে রোগীর বাড়ির লোকেদের। এই রিপোর্ট নিয়ে কীভাবে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করবেন! যদি কোন ভুল-ভ্রান্তি হয় তখন দোষ গিয়ে পরে তাঁদের উপর। সুমনের আবেদন, এই ধরনের ল্যাবরেটরিকে অনুমোদন দেওয়ার আগে ভালোভাবে অনুসন্ধান করা হোক। না হলে এদের কার্যকলাপের ফলে সমস্ত দোষ হয় সরকারের ও চিকিৎসকদের উপর পড়ব। চিকিৎসা করাতে গিয়ে ভুল চিকিৎসার শিকার হতে হচ্ছে রোগীদের। এই ঘটনায় সুমন পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন সুমন। ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার রাজ্য ও কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরভোট নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট

 

 

Previous articleবিশ্বে এই প্রথম, শূকরের হৃৎপিণ্ড মানবদেহে, কেমন আছেন রোগী?
Next articleহাইকোর্টের নির্দেশে বদল এসএসসি-র চেয়ারম্যান,দায়িত্বে সিদ্ধার্থ মজুমদার