সকালে বিদ্রোহীদের একের পর এক জেলায় পোস্টার। বিকেলে বনভোজন। আর সেই বনভোজন থেকেই বিদ্রোহীদের নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর স্পষ্ট বলে দিলেন, বেসুরোরা সুরে বাজলে তাদের কথাই মানুষে শোনে। বর্তমান নেতৃত্বের ওপর আমাদের আস্থা নেই। আমরা চাই এমন এক কমিটি যেখানে মাটির মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকে। আর যতদিন তা না হয় ততদিন দলীয় আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চলবে সম্পর্ক যাত্রা।

সোমবার সকাল থেকেই বনগাঁ থেক বারাসত, শ্যামবাজার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ, বিদ্রোহীদের পোস্টারে ছয়লাপ। এমনকি দলের সদর দফতরেও পোস্টার। আর লজ্জা এড়াতে সেই পোস্টার ছিঁড়তে লোক ভাড়া করতে হল বিজেপিকে (BJP)। পোস্টারে অমিতাভ চক্রবর্তীকে গদ্দার, সুকান্ত-শুভেন্দু হটাও-বিজেপি (BJP) বাঁচাও লেখা। পোস্টারেই ইঙ্গিত ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা মঞ্চের।


বিদ্রোহীদের নতুন মঞ্চ আত্মপ্রকাশের অপেক্ষায়। নাম হতে চলেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ও পি আর ঠাকুর মঞ্চ। নতুন মঞ্চের প্রাথমিক কাজ হল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ান, সাহাস জোগান, সাহায্য করা। নিশ্চিতভাবে বিজেপির ক্ষমতাসীনদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন বিক্ষুদ্ধরা। এবং দলে দলে বাড়ছে বিক্ষুদ্ধদের সমর্থক।

আরও পড়ুন: বন্ধ হোক বাবাকে নিয়ে এই ছেলেখেলা: ট্যাবলো বাতিলে এবার ক্ষুব্ধ নেতাজি কন্যা


বনভোজনের আড়ালে বিক্ষুদ্ধরা নিজেদের ভিত আরও শক্ত করলেন সোমবার। শনিবার খিদিরপুরে, রবিবার ঠাকুরনগরের পর এটি টানা তৃতীয় বৈঠক বিক্ষুদ্ধদের। পিকনিকে ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুরা। বনভোজন উপলক্ষ্য মাত্র। জয়প্রকাশ রবীন্দ্রনাথের সাহায্য নিয়ে বললেন চড়ুইভাতি। রাজনীতিবিদদের কী পিকনিকে আসতে নেই!

বনভোজন রাজনীতির হোতা শান্তনুর সাফ কথা, বেসুরোরা সুরে বাজলে মানুষ তাদের কথাই শোনেন। ক্ষমতাসীনরা যে কমিটি বানিয়েছে তা একজন বা দু’জনের ব্যক্তিগত কমিটি। এই কমিটি আমরা মানি না। হয় পরিবর্তন, নইলে চলবে আমাদের ‘সম্পর্ক যাত্রা’। দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে আমাদের সমর্থকদের কাছে যাব আমরা, শুনব তাদের অভিযোগ। আপাতত এটাই প্রথম কর্মসূচি। আমরা মাটির কাছাকাছি রয়েছি। ওদের অঙ্গুলীহেলনে চলব না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি। দেখা হবে ময়দানে।
