ভোট-করোনাতেও থমকে যায়নি, ৯ মাসে রূপশ্রীর টাকায় রাজ্যে বিয়ে আড়াই লক্ষ কন্যার

সামাজিকভাবে মেয়ের বিয়ের জন্য অর্থ জোগাড়ে আজ আর বাবা-মা'কে দরজায় দরজায় গিয়ে হাত পাততে হয় না

mamata banerjee's rupashree prakalpa

২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে একের পর এক সামাজিক ও জনমুখী প্রকল্প বাংলার মানুষকে উপহার দিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জন্মালে “শিশুসাথী” থেকে মৃত্যুতে “সমব্যথী”, মাঝে কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষীর ভান্ডারের মতো প্রায় ৭০টি অভিনব প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে চালু হয়েছে, যেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছেন। রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে শুধু দেশ নয়, মমতার মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রকল্প বিশ্বের দরবারে সমাদৃত। পেয়েছে একাধিক পুরস্কার।

রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম ‘‘রূপশ্রী’’ (Rupashree), যা এই বাংলার তরুণী-যুবতীদের দিয়েছে সামাজিক নিশ্চয়তা। মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তা কমিয়েছে দরিদ্র-নিমবিত্ত ‌কন্যাদায়গ্রস্ত পিতাকে। সামাজিকভাবে মেয়ের বিয়ের জন্য অর্থ জোগাড়ে আজ আর বাবা-মা’কে দরজায় দরজায় গিয়ে হাত পাততে হয় না। করোনায় লকডাউন হোক, প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা ভোট, প্রকল্পের গতি থেমে যায়নি। বিয়ের জন্য পাত্রীর হাতে আজও পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্য সরকারি অর্থসাহায্য। পরিবারের বার্ষিক আয়ের দেড় লক্ষ টাকা বা তার কম হলে প্রাপ্তবয়স্ক কন্যা পাবেন এককালীন ২৫ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন-নৃত্যজগতে নক্ষত্রপতন! প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ

বিবাহযোগ্যা মেয়ের বিয়ে দিতে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তা দূর করতে ২০১৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেন ‘’রূপশ্রী’’ (Rupashree) প্রকল্প। তা চালু হওয়ার মাত্র চার বছরেই মমতার রাজ্যের প্রায় ১২ লক্ষ পাত্রী আজ ‘’রূপশ্রী’’। রাজ্য নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পে উপভোক্তার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৪ হাজার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের জন্য দফতরের ব্যয় হয়েছে ৭৯৫ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। আর ২০১৮ সালে ‘’রূপশ্রী’’ প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুবিধা পেয়েছেন ১১ লক্ষ ৭১ হাজার পাত্রী। সরকারি তথ্য বলছে, ২০২১-এর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যন্ত এই প্রকল্পে সরকার খরচ করেছে ২ হাজার ৮৯৫ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে নথিভুক্ত হয়েছিল ২ লক্ষ ৯৬ হাজার পাত্রীর নাম। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তা ছিল ৩ লক্ষ ৪ হাজার। ২০-২১ অর্থবর্ষে নাম নথিভুক্তি ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার। আর ২০২১-২২ অর্থবর্ষের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৩৪ হাজারে। অর্থাৎ সর্বমোট ১১ লক্ষ ৭১ হাজার। ইতিমধ্যে কাগজপত্র সব খতিয়ে দেখে আর্থিক সাহায্য পৌঁছে গিয়েছে ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার ‘রূপশ্রী’র ব্যাংক একাউন্টে।

 

Previous articleফের জাঁকিয়ে শীত কলকাতায়, হু হু করে নামল পারদ
Next articleকৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাখেনি মোদি সরকার, ৩১ জানুয়ারি দেশজুড়ে ‘বিশ্বাসঘাতকতা দিবস’ পালন