লাগাতার আক্রমণে বিধ্বস্ত বিজেপির রাজ্য সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। কিন্তু তাতে কী হয়েছে! ব্যাকফুটে যাওয়ার কোনও লক্ষণ নেই। বরঞ্চ দলের বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দিল্লির কাছে দরবার শুরু করলেন। রীতিমতো তালিকা তৈরি করে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে পাঠিয়েছেন। বলেছেন, এইসব বিদ্রোহীদের দলের বাইরে বের করুন। অথবা শাস্তি দিয়ে চুপ করান।
আরও পড়ুন:Covid Vaccine: এবার থেকে ওষুধের দোকানেই মিলবে কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিন, অনুমতি বিশেষজ্ঞ কমিটির
কিন্তু দিল্লি নেতৃত্বের এসব শোনার সময় কোথায়? এখন দল ব্যস্ত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন নিয়ে। ভোট শেষ করে কে সরকার গড়বে, কিংবা হর্স ট্রেডিংয়ে যেতে হবে কিনা, সেসব নিয়ে তাঁরা ব্যস্ত থাকবেন। ফলে মার্চ পর্যন্ত তাঁদের বাংলা নিয়ে ভাবার সময় নেই। মার্চের শেষ অথবা এপ্রিলের প্রথম দিক ছাড়া বাংলার দিকে তাকানো সম্ভবই হবে না। ফলে আগামী দু’মাস ধরে বিজেপির বিদ্রোহীদের ক্রমান্বয়ে তোপ সহ্য করে যেতে হবে অমিতাভ-শুভেন্দু-সুকান্ত জুটিকে। তাতে যে বিজেপির মধ্যে বিদ্রোহীদের সুর আরও চড়বে, ফাটল আরও বাড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে বিদ্রোহীরাও বসে নেই। মাস কয়েকের মধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পিআর ঠাকুর মঞ্চ প্রকাশ্যে আসছে। ইতিমধ্যে তার আইনি কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিদ্রোহীদের স্পষ্ট কথা, সভাপতি নাড্ডা যদি ব্যবস্থা না নেনে তাহলে মঞ্চ তৈরির মাস দুয়েকের মধ্যে নতুন দল গড়বেন। আর তাতে মতুয়া নেতা শান্তনু ঠাকুর থেকে জয়প্রকাশ মজুমদার বা প্রতাপ চক্রবর্তীরা থাকবেন। বহু বিধায়কও নতুন দলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে। বিদ্রোহীরা বলেছেন, অমিতাভ চক্রবর্তী আর পেগাসাস অধিকারী ভুল বোঝাচ্ছে দিল্লিকে। যদি এরকম চলতে থাকে তাহলে দলটা ভাঙছে, ভাঙবেই। আর সেই বিপদটা বুঝতে পারছেন না অমিতাভ-শুভেন্দু। কিংবা বুঝেও ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সব ঠিক হ্যায় বলছেন।
