Science: মানব মস্তিষ্কে বসবে মেমোরি কার্ড, স্মৃতি হারানোর ভয় থেকে মুক্তি! 

মাথায় বসবে মেমোরি কার্ড, আর ভুলবেন না কিছুই।

মোবাইলে থাকে মেমোরি (Memory card)কার্ড তাতে ভরা থাকে নানা প্রয়োজনীয় তথ্য, যাতে দরকারে কিছু মিস না হয় সেকারণেই এই ব্যবস্থা। কিন্তু মানব মস্তিস্ক তো আরও ব্যস্ত, অনেক বেশী ডেটা (Data)তারমধ্যে। সময় বিশেষে ভুলে যাওয়ার টেনশন তো থেকেই যায়। তবে আর চিন্তা নেই , আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষেরই মস্তিষ্কে বসবে মেমোরি(Memory) চিপ। এর ফলে নাকি পুরনো কথা আর কেউ ভুলবেন না, তার পাশাপাশি রয়েছে এক্সট্রা কিছু নতুন সুবিধা।

 আরো পড়ুন : Priyanka Chopra:মা হলেও এখনও হাসপাতালেই থাকতে হবে প্রিয়াঙ্কা-নিকের সন্তানকে

অবাক হচ্ছেন ? অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে?  আপনার মনের ধোঁয়াশা দূর করতে অবিরাম কাজ করে চলেছে এলন মাস্কের নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক । তবে ব্রেন চিপ নিয়ে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন ট্রায়াল। আর সেই ট্রায়ালের জন্য দরকার কিছু আগ্রহী ব্যক্তি। শূকর আর বানরের উপর পরীক্ষা হয়েছে ঠিকই কিন্তু হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য ইচ্ছুক ব্যক্তিদের খোঁজ জারি রয়েছে। সম্প্রতি নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডিরেক্টরের জন্য একটি চাকরি সংক্রান্ত পোস্ট করেছে। তাতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যারা এই বিশেষ কাজের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই এই কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। পাশাপাশি এই কাজের প্রতি যথেষ্ট আগ্রহী এবং ভালোবাসা থাকাটাও দরকার। নির্বাচিত ব্যক্তিরা  নিউরালিংকের প্রথম ক্লিনিকাল ট্রায়াল অংশগ্রহণকারী হিসাবে কাজ করার সুযোগও পাবেন ।

সূত্র বলছে নিউরালিংক ইতিমধ্যেই একটি ৯ বছর বয়সী বানরের ক্ষেত্রে চিপটি ব্যবহার করে পরীক্ষা করেছে। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে ব্রেন চিপ স্থাপনের পর সে কেবল মন দিয়ে ভিডিও গেম খেলতে পারছে।।কিন্তু কেন এই ভাবনা?এলন মাস্কের মতে, প্যারালাইসিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা বা যারা স্মৃতি হারিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছেন, মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এমন চিন্তা ভাবনা।

মাস্ক বলছেন, নিউরালিংক ডিভাইসটি একটি ছোট্ট কয়েনের আকারের এবং এটি সহজেই মাথায় ভেতরে প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। নিউরালিংকের প্রযুক্তির প্রথম ব্যবহারিক প্রয়োগে মস্তিষ্কের ব্যাধি এবং রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিরাময় দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।শুধুমাত্র একটি যন্ত্রের সাহায্যে মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের সমস্যার সহজেই সমাধান করা যায়। এর সাহায্যে পক্ষাঘাত, শ্রবণশক্তি, অন্ধত্বের সমাধান করা যাবে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে আপনি স্মৃতি সংরক্ষণ বা প্রতিস্থাপন করতে পারেন। মস্তিষ্কের সাথে সরাসরি সংযোগ করা যাবে কম্পিউটারের। আপনি এটি নতুন বডি বা রোবট বডিতেও ডাউনলোড করতে পারবেন। এবার শুধু গবেষণা কে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পালা।