পান-বিড়ির দোকান চালিয়ে ১১টি উপন্যাস লিখে ফেলেছেন এই প্রতিভাবান

বেহালার বীরেন রায় রোডে তিন ফুট বাই তিন ফুটের ছোট্ট পানের দোকান। যাকে বলে গুমটি। সেখানে বসেই খদ্দের সামলানোর ফাঁকে ফাঁকে চরম দারিদ্র্য আর নিন্দুকদের ব‍্যঙ্গ-বিদ্রুপ উপেক্ষা করে লিখে ফেললেন এগারোটি উপন্যাস, দুশোর বেশি গল্প, প্রায় দুশোটি কবিতা ও একশোটি প্রবন্ধ সহ অসংখ্য মন ছুঁয়ে যাওয়া গদ‍্য। শুধু তা-ই নয়, এই দোকানে বসেই দোকানদারির ফাঁকে ফাঁকে পড়াশোনা করে বাংলায় প্রথমে স্নাতক হন ও পরে মাস্টার ডিগ্রিও অর্জন করেন।

এখানেই শেষ নয়, হিন্দি সাহিত‍্য হিন্দি ভাষাতেই পড়বেন বলে হিন্দি সাহিত‍্যে প্রথমে ডিপ্লোমা ও পরে অ্যাডভান্স ডিপ্লোমাও অর্জন করেন। এরকম আরও অজস্র ডিগ্রি বর্তমানে তাঁর ঝোলায়।

বাংলার প্রায় প্রথমসারির সব পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর ছোটদের জন্য লেখা পাঁচটি গল্পের বই, পারুলমাসির ছাগলছানা, নোটন নোটন পায়রাগুলি, ইলিশখেকো ভূত, কচুরিপানার ভেলা ও ঝিনুককুমার। আজ পর্যন্ত কেউই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি তাঁকে। অথচ নিজের সঙ্কল্পে অবিচল দিন-রাত এক করে ছোট্ট সেই দোকানে বসেই দোকানদারির ফাঁকে এক মনে লিখে চলেছেন পিন্টু পোহান।

 

Previous articleTMC At Commission: গোয়ায় হেনস্থা নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নালিশ তৃণমূলের
Next articleবরফে ঢেকেছে কালকা-সিমলা রেল স্টেশন, ছবি পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর