সাফল্য নিয়ে সংশয়ে একমাস পিছিয়ে গেল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির দু’দিনের ধর্মঘট

আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী দুদিনের ধর্মঘটের(All India strike) ডাক দিয়েছিল কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ ও সর্বভারতীয় কর্মী ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন। তবে এই ধর্মঘটের সাফল্য নিয়ে সংশয়ে একমাস পিছিয়ে গেল এই ধর্মঘট। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশজুড়ে পালিত হবে এই ধর্মঘট।

বর্তমানে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি বিপর্যস্ত। এই অবস্থায় ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ঢাকা ধর্মঘট জনগণ কতটা সমর্থন করবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শ্রমিক সংগঠনের অন্দরেই। তার উপর ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন আসন্ন। অতএব, নির্বাচনী ব্যস্ততার মাঝে ধর্মঘটের কর্মসূচি নেওয়া যে সম্ভব নয়, তা বলাই বাহুল্য। এই পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংগঠনগুলোর তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা করোনা পরিস্থিতির কারণেই ধর্মঘট থেকে আপাতত পিছিয়ে এসেছে। সিপিআই(এম)-র রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের দাবি, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। সুতরাং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবে।

আরও পড়ুন:পেগাসাস চুক্তি বিতর্কে মোদি সরকারকে তোপ শান্তনু সেনের

যৌথ মঞ্চের তরফে যে মোট ১২ দফা দাবি তোলা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কৃষকদের একাধিক দাবিও। সংগঠনের তরফে যেসকল দাবি করা হয়েছে তার হলো, শ্রম কোড আইন বাতিল, সংযুক্ত কিষান মোর্চার ৫ দফা দাবি কার্যকর, ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পলিসির নামে ঢালাও বেসরকারিকরণ চলবে না, মহামারীতে বিপর্যস্ত অবস্থায় আয়কর করের আওতার বাইরে থাকা সকল নাগরিককে মাসে নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। এই দাবিতেই ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হবে।

প্রসঙ্গত, ধর্মঘট ডাকা এই যৌথ মঞ্চে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে সিআইটিইউ, আইএনটিইউসি, এআইটিইউসি, এইচএমএস, এআইইউটিইউসি, টিইউসিসি, সেবা, এআইসিসিটিইউ, এলপিএফ, ইউটিইউসি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মচারী ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনসমূহ।

Previous articleরবিবার থেকেই রাজ্যে বাড়ছে পাউরুটির দাম, নতুন দাম কত?
Next articleএকডালিয়া রোড হোক ‘সুব্রত মুখোপাধ্যায় রোড’, দাবি স্থানীয়দের