তৃণমূলের অবাধ সাংগঠনিক নির্বাচনের সাক্ষী থাকতে নেতাজি ইন্ডোরে চাঁদের হাট

সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক উপায়ে একটি রাজনৈতিক দলের এমন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামিদিনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে বলেই প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা

একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন এক মহামিলন উৎসব আগে কখনও দেখা যায়নি।দলীয় নেতৃত্ব, পদাধিকারী, বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী, পুর ও পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধি, পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে কে ছিলেন না! প্রিয় নেতাদের এক পলক দেখতে স্টেডিয়ামের মূল ফটকের বাইরে অপেক্ষা করছিল উৎসুক মানুষ ও কর্মী-সমর্থকরাও। শুধু তাই নয়, বুধবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচনের সাক্ষী থাকতে নেতাজি ইন্ডোরে বসেছিল চাঁদের হাট। সাহিত্য, চলচ্চিত্র, ক্রীড়ামহল, সংবাদমাধ্যম, নাট্যব্যক্তিত্ব, চিত্রশিল্পী থেকে শুরু করে সংগীত শিল্পী সহ সমাজের বিশিষ্টজনদের যোগদান এবং উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। যা প্রকৃত অর্থেই ছিল রঙিন। উৎসবের মেজাজে এমন নজিরবিহীন অবাধ নির্বাচন প্রক্রিয়া দেখে সকলেই মুগ্ধ। সুন্দর আয়োজনে তাঁরা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে ধন্য ধন্য করেছেন।

নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনের সাক্ষী থাকতে উল্লেখযোগ্যভাবে হাজির ছিলেন চিত্রশিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, সাহিত্যিক নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, কবি সুবোধ সরকার, সঙ্গীত শিল্পী সৌমিত্র, অনীক ধর, অভিনেত্রী সুভদ্রা, অম্বরিশ, শংকর চক্রবর্তী, নীল, তৃনা, ঈপ্সিতা, সৌমিতৃষা, ভরত কল সহ আরও অনেকে।

ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন মানস ভট্টাচার্য, সমরেশ চৌধুরী, জয়দীপ কর্মকার, শরদিন্দু মুখোপাধ্যায়, অরূপ ভট্টাচার্য প্রমুখ। ক্রীড়া প্রশাসকদের মধ্যে দেবাশিস দত্ত, দেবব্রত সরকার, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়।

সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি রাজনৈতিক দলের এমন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া আগামিদিনের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে বলেই তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। নির্বাচন কমিশন থেকে রিটার্নিং অফিসার, গোটা প্রক্রিয়া ছিল একেবারে গণতান্ত্রিক পরিমণ্ডলে সাজানো। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতৃত্ব, পদাধিকারীরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হাজির ছিলেন। প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ ও দলের স্বেচ্ছাসেবকদের সৌজন্যে করোনা বিধি মেনে সুশৃংখলভাবে একে একে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন সকলে। এরপর পৃথক পৃথক মঞ্চে বিভিন্নস্তরের পর্যবেক্ষক জন্য আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে।

নেতাজি ইন্ডোরের মূল নির্বাচন কেন্দ্রের প্রবেশের আগে বাইরে রেজিষ্ট্রেশনের ব্যবস্থা ছিল। যাঁদের ভিতরে প্রবেশাধিকার ছিল, তাঁরা নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে ব্যাচ সংগ্রহ করে তবেই ভিতরে প্রবেশ করেছেন। এবং গোটা প্রক্রিয়াটি ছিল পেশাদারির মোড়কে মোড়া। সারাক্ষণ সেদিকে সজাগ দৃষ্টি ছিল দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির।

এরপর নির্দিষ্ট সময় মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং নির্দিষ্ট সময়ের পর তিনি ঘোষণা করেন, মনোনয়ন পড়ছে ৪৮টি পৃথক প্রস্তাবনায় চেয়ারপার্সন পদে নির্বাচনের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কারও নাম আসেনি। এবং সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় ফের একবার দলের শীর্ষ আসনে বসলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই গোটা প্রক্রিয়া তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করলেন নেতাজি ইন্ডোরে উপস্থিত সকলে, বিশেষ করে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন দেখে মুগ্ধ বিশিষ্টজনেরা।

আরও পড়ুন- তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখনে সপরিবারে বাঁটুল স্রষ্টা, নারয়ণ দেবনাথ

Previous articleতৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখনে সপরিবারে বাঁটুল স্রষ্টা, নারয়ণ দেবনাথ
Next article“ইসবার দোশো পার…”, বলা সুপার ফ্লপ শুভেন্দুর এলাকাতেই বিজেপিতে বিরাট ধস