বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন হয়েই কেন্দ্রের বিজেপি (Bjp) সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বলেন, বিজেপি হল “চু কিতকিতের দল”। নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহর নাম না করে তৃণমূল (Tmc) সুপ্রিমো বলেন, “দলে শুধু দুজন। একজন বলে চু, অন্যজন বলে কিৎ, আবার অন্যজন বলে কিৎ।”
বাজেট (Budget), পেগাসাস (Pegasus) থেকে ইডি-সিবিআই- সব নিয়েই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল চেয়ারপার্সন।
বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে হয় তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। বাংলার পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেন। অন্যান্য রাজ্য থেকে যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha), লোকেশ ত্রিপাঠী, রাজেশ ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অশোক তানোয়ারদের মতো নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হন মমতা। একাধিক ইস্যুতে কড়া ভাষা বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনে। বলেন, “বিজেপির তিনটে রত্ন। ইডি, সিবিআই আর টাকা। এভাবে কোনওদিন চলতে পারে না।” মমতা জানান, এনআরসি নিয়ে আমরা লড়েছি।
কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। বলেন, “নতুন নিয়মে ব্যাঙ্ক ৫ লাখের বেশি পাবে না। সব বিজেপির কাছে যাবে।” কোভিডের নামে দোহাই দিয়ে সব করে নিচ্ছে মোদি সরকার। পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, একটা করে নির্বাচন এলেই ইডি-সিবিআইয়ের তৎপরতা বেড়ে যায়। “বীরভূমে নির্বাচন আছে তার আগে কেষ্টকে ডাকছে। ও অসুস্থতা ওকে ডাকছে। অভিষেক গোয়া দেখছে। তাই ওর প্রাইভেট সেক্রেটারি, বন্ধু সবাইকে ডাকছে।” মমতার অভিযোগ “ওরা শুধু জানে পেগাসাস। পিকে-অভিষেকের ফোনে পেগাসাস তো প্রমাণ করা হয়ে গিয়েছে।” এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকে রাখা যায় না বলে মন্তব্য করেন মমতা।
বাজেট নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, রেল থেকে সেল সব বেচে দিচ্ছে। শুধু হিরে রান্না করে খাবে সবাই! ভাত, ডাল, শাক, মাছ নেই; শুধু হিরে। কর্মসংস্থান শূন্য। যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যত নিয়ে কোনও চিন্তা নেই।
পদ্ম পুরস্কার নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণান মমতা। কটাক্ষ করে বলেন, “পদ্মভূষণকে ওরা দূষণে পরিণত করেছে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মতো যোগ্য ব্যক্তি আর কে আছে? অথচ তাঁকে পদ্মশ্রী দিয়ে অপমান করা হল। তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন তাঁর বক্তব্যের সিংহভাগেই ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ।