Friday, May 16, 2025

রানি শিরোমণির কর্ণগড়কে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

Share post:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) ড্রিম প্রজেক্ট কর্ণগড় (Karnagarh)। সংরক্ষিত গড়ের নামকরণ হয়েছে, রানি শিরোমণি (Rani Shiromoni) গড়। এবারে সেই কাজ কতদূর এগোলো তার দেখভালের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের কাঁধে।

ওই পর্যটন কেন্দ্রকে (Karnagarh) ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য স্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, রাজ্যের পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী প্রমুখকে দ্রুত সেখানকার পরিকাঠামো তৈরির নির্দেশ দেন।অধুনা বিস্মৃত রানির কীর্তির কথা তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের গনগনি , পূর্ব মেদিনীপুরের শহিদ মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়ি এবং শহিদ ক্ষুদিরামের বাড়ি সংস্কার করে সেগুলি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: তাজপুরে নতুন শিল্পের সম্ভাবনা রয়েছে, বাড়বে কর্মসংস্থান: মুখ্যমন্ত্রী

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্বীকৃতি পেতে চলেছে কর্ণগড়। ইতিমধ্যে রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দফতর থেকে জেলাস্তরে এই বিষয়ে মৌখিক বার্তা পৌঁছেছে। সূত্রের খবর, কর্ণগড়ে থাকা স্থাপত্যের স্বীকৃতি মিলবে ‘স্টেট প্রটেক্টেড মনুমেন্ট’ হিসেবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী ব্লকের চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রানি শিরোমণি (Rani Shiromani)। তাঁর রাজধানী ছিল কর্ণগড়। এই বিদ্রোহকে বলা যেতে পারে ব্রিটিশ বিরোধী কৃষক বিদ্রোহ (Farmer revolution)।

কর্ণগড়ে (Karnagarh) এখনও রয়েছে গড়ের ধ্বংসাবশেষ। নিজেদের আবেদন সর্বস্তরে তুলে ধরেছিল ভালোবাসি কর্ণগড় ও হেরিটেজ জার্নি সংগঠন। ভালোবাসি কর্ণগড়, হেরিটেজ জার্নি, রানি শিরোমণি ও চুয়াড় বিদ্রোহের দ্বিশত বর্ষ উদযাপন কমিটি, অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় সমাজ, জেলা কুড়মি সেনা পাঁচটি সংগঠন মিলে তৈরি হয়েছিল শিরোমণি ঐক্য মঞ্চ। প্রথম থেকে আবেদন ছিল, খাতায়-কলমে হেরিটেজ মর্যাদা পাক কর্ণগড়। পাঠ্যপুস্তকে অধ্যায় হিসেবে স্থান পাক রানি শিরোমণি ও কর্ণগড়। বিভিন্ন দফতর, অধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানাচ্ছিলেন নিসর্গ নির্যাস মাহাতো, সুনীল বিশ্বাস, তন্ময় সিংহ। পাশে পেয়েছিলেন অনেক বিশিষ্ট মানুষ ও সংগঠনকে। লড়াইটা ছিল প্রায় তিন বছরের। উদ্দেশ্য একটাই, জেলার মুকুটে আরও একটা নতুন পালক যুক্ত হওয়া। অখন্ড মেদিনীপুরবাসী হিসেবে এটুকুই চাওয়া। আবেদনকারীদের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র।

 

spot_img

Related articles

তৃণমূলের অভিযোগেই সিলমোহর! ভোটার তালিকা থেকে বাদ ৭,৮০০ ভুতুড়ে কার্ড 

তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ও চাপের পর অবশেষে বড় পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে প্রায় ৮ হাজার ভুতুড়ে ভোটার...

ভারত-বিরোধী তুরস্ককে ঢালাও সামরিক সাহায্য আমেরিকার

পরিকল্পিতভাবেই যেন তথাকথিত 'বন্ধু' মোদিকে বেইজ্জত করতে নেমেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পহেলগাঁও কাণ্ড ও ভারতীয় সেনার অপারেশন...

বিকাশভবনে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চাকরিপ্রার্থীদের, আহত পুলিশ

বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের ঘেরাও অভিযানের নামে বিশৃঙ্খলা। ভেঙে ফেলা হয় বিকাশ ভবনের গেট। পাশাপাশি পুলিশ ও...

হারানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই লাখ টাকা-সহ ব্যাগ বিশেষভাবে সক্ষমকে ফেরালেন ওসি সৌভিক

পথচারী এবং যাত্রীদের সব সময় পাশে থাকে কলকাতা পুলিশ। তারই আরেক উদাহরণ বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। হাওড়া ব্রিজ ট্রাফিক গার্ডের...