Prime Minister: ‘আদরের লতাদিদি চলে গেলেন’, কোকিলকণ্ঠীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

আমি ভাষা হারিয়েছি। অত্যন্ত দয়ালু ও আদরের লতাদিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। কোকিলকণ্ঠীর প্রয়াণে এভাবেই শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, তাঁর চলে যাওয়া এমন এক শূন্যতা তৈরি করল, যা কখনওই পূরণ হওয়ার নয়। ভারতীয় সংস্কৃতির একজন কিংবদন্তি হিসেবেই লতা মঙ্গেশকরকে মনে রাখবে আগামী প্রজন্ম, যাঁর সুরেলা কণ্ঠ প্রজন্মের পর প্রজন্মকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছে।

প্রয়াণের খবর পাওয়ার পরই একের পর এক টুইট করেন মোদী। সরকারিভাবে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য।

কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় গত ১১ জানুয়ারি তাঁকে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন নবতিপর শিল্পী। প্রথম থেকেই তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন। ১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথম বার সিনেমায় গান গাওয়া। মরাঠি ছবিতে। মুম্বই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি ছবিতে গান। ‘মজবুর’ ছবিতে।
১৯৮৯ সালে ভারত সরকার তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করে। ২০০১ সালে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নে ভূষিত করা হয়। এম এস শুভলক্ষ্মীর পর এই সম্মান পাওয়া তিনিই দ্বিতীয় সঙ্গীতশিল্পী। ২০০৭ সালে ফ্রান্স তাঁকে সেদেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা লিজিওঁ অব অনারে ভূষিত করে।
তিনি ৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ১৫টি বাংলা এফজেএ পুরস্কার, ৪টি শ্রেষ্ঠ গায়িকা বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ২টি বিশেষ ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, ফিল্মফেয়ারের আজীবন সম্মাননাসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

Previous articleনা ফেরার দেশে লতা, শোকপ্রকাশ পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর
Next articleনক্ষত্রদের সাধনা ও তাঁর প্রতিভা পরস্পরকে সমৃদ্ধ-অভিষিক্ত করেছিল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়