কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণার পর এই বাজেটের তীব্র সমালোচনা করে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী(Finance Minister অমিত মিত্র(Amit Mitra)। এরপর রবিবার বাজেট ইস্যুতে করা আক্রমণের পথে হাঁটলেন তিনি। স্পষ্টভাবে জানালেন কেন্দ্রীয় বাজেটে(Central budget) গরিবের উন্নয়নের কোনও সংস্থান নেই।
এদিন টুইটারে এই বাজেটের বিরুদ্ধে সরব হয়ে অমিত মিত্র লেখেন, “দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এক বছরে হয়েছে ১৩৪ মিলিয়ন। এই বাজেট গরিব মানুষ বিরোধী নির্মম বাজেট। আর মধ্যবিত্তের কিছুই পায়নি। এ যেন আকাশে ‘পাই’ বিক্রি করার মতো। এই বাজেট ঘূর্ণায়মান মরীচিকা ছাড়া আর কিছু নয়।” পাশাপাশি টুইটারে তিনি আরও লিখেছেন, “বাজেটে খাদ্যে ভরতুকি ২৮ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ১০০ দিনের কাজে ২৫ শতাংশ ভরতুকি কম করা হয়েছে। সামাজিক, কৃষি, স্বাস্থ্য, সব ক্ষেত্রেই জিডিপি’র একটি শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। অমিত বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে এভাবে ভরতুকি অর্থ কমিয়ে দেওয়ার সব থেকে বড় প্রভাব পড়বে গরিব ও মধ্যবিত্তের জীবনযাত্রার উপরে।”
আরও পড়ুন:মিশন উত্তর প্রদেশ: অখিলেশের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে আজ লখনউ যাচ্ছেন মমতা
বাজেট পেশ হওয়ার পরপরই পরিসংখ্যান দিয়ে অমিত মিত্র জানিয়েছিলেন, দেশে বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কিছুই পদক্ষেপ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁর অভিযোগ ছিল, দেশে বেকারত্ব ৮ শতাংশ। প্রায় ৩ কোটি বেকার। গত কয়েক বছরে বেতনভুক কর্মী কাজ হারিয়েছেন প্রায় ১.২ কোটি। সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিও আকাশছোঁয়া। হোল প্রাইস ইনডেক্স ১৪ শতাংশ, কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ৬ শতাংশ। এই ‘স্ট্যাগফ্লেশন’ অর্থাৎ বেকারত্ব ও মূল্যবৃদ্ধির জোড়া আক্রমণ একসঙ্গে কোনও দেশে হয়নি। তার উপর দেশের জিডিপি’র বৃদ্ধি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রাপ্ত প্রকল্প, সামাজিক, বয়স্ক, কোভিডে মৃত, চাষের জন্য, মধ্যবিত্তের জন্য কোনও প্রকল্প নেই। কর ছাড়ও দেওয়া হয়নি। সব মিলিয়ে বাজেটকে ধাপ্পাবাজির বাজেট বলে তোপ দাগেন তিনি।