শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এসএসসি-র বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ সামনে এল। এসএসসি-র (Staff Selection Commission) বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্যানেল মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও, সেখান থেকে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। তা-ও আবার এসএমএস করে ডেকে এনে।
এর আগে এসএসসি-র গ্রুপ-ডি ও গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মামলাগুলি কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। বিচারবিভাগীয় একটি অনুসন্ধান কমিটিকে দিয়ে তদন্ত করাচ্ছে হাইকোর্ট। তদন্তের জন্য ওই কমিটিকে আরও দু’মাস সময়ও দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই ফের অভিযোগ ওঠায়, অস্বস্তিতে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
মূলত, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ নিয়েই অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাকারীর অভিযোগ, এসএমএস করে ডেকে এনে, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
২০১৯-এর ১৮ ডিসেম্বর নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর প্রায় আট মাস বাদে ২০২০-র ৩ অগস্ট কী ভাবে এসএমএস করে অফিসে ডেকে চাকরির সুপারিশপত্র দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এ ভাবে এসএমএস করে নিয়োগপত্র দেওয়ার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।’
১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ।
