বিজেপির অন্দরে প্রবল বিদ্রোহের মাঝেই এবার লকেট-শান্তনুর বৈঠকে বাড়ছে জল্পনা

দলীয় কমিটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাদ দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে। এই পরিস্থিতির মাঝেই মঙ্গলবার বিজেপির(BJP) অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের(locket Chatterjee) সঙ্গে বৈঠক করলেন বনগাঁর বিজেপি সংসদ তথা ‘বিদ্রোহী’দের প্রধান শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। আর এই বৈঠকের ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে।

সাংগঠনিক হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ থেকে মতুয়া বিধায়কদের বেরিয়ে যাওয়া থেকে ‘বিদ্রোহী’ সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদারদের নিয়ে চড়ুইভাতি করা সবেতেই নেতৃত্বে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনুকে। এদিকে ‘বিদ্রোহী’দের দাবি, লকেট তাঁদের সঙ্গেই আছেন। যদিও লকেট এ বিষয়ে সরাসরি মুখ না খুললেও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কিছু কথা তো অবশ্যই হয়েছে। তবে সেটাকে বিদ্রোহ বা অন্য কোনও বিশেষণ দেওয়া ঠিক হবে না। আমি উত্তরাখণ্ডে সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছি। শান্তনু প্রচারে এসেছিলেন। সেখানে দেখা হয়েছে। দীর্ঘ সময় আমরা একসঙ্গে ছিলাম। নানা বিষয়ে কথাও হয়েছে।”

আরও পড়ুন:Hoogli: নিজের সৃষ্টি তুলে দেওয়া হল না সুরসম্রাজ্ঞীর হাতে, আক্ষেপ রয়ে গেল কোলাজ-শিল্পী তপনের

লকেট অবশ্য স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, আগে থেকেই নির্দিষ্ট ছিল এই বৈঠক। উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলার তিন-চারটি বিধানসভা এলাকায় অনেক মতুয়া ভোটার রয়েছেন। সেই সব এলাকায় মূলত লকেটের আমন্ত্রণেই প্রচারে গিয়েছেন শান্তনু। রুদ্রপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়ে স্থানীয় রুদ্র হোটেলে ওঠেন শান্তনু। সেখানেই দীর্ঘ সময় লকেটের সঙ্গে তাঁর কথা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরে স্থানীয় একটি মাঠে মোদীর ভার্চুয়াল জনসভায় যোগ দেন দু’জনে। সেখানেও মঞ্চের এক পাশে বসে বাংলার দুই নেতাকে কথা বলতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, রাজ্য কমিটি থেকে পুরনো নেতাদের বাদ দেওয়া এবং জেলা কমিটি গঠনে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন শান্তনু ঠাকুর সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। প্রবল বিদ্রোহের মাঝেইইতিমধ্যে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা হয়েছে শান্তনুর। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন পর্যন্ত শান্তনুকে অপেক্ষা করতে বলেছেন নাড্ডা, এমনটাই বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে তারই মধ্যে সম্প্রতি আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের সঙ্গে দেখা করেন শান্তনু। দিল্লিতে তিন জনের বৈঠক হয় বলেও জানা যায়। তখন থেকেই জল্পনা তৈরি হয় নিশীথও কি মতুয়া নেতা শান্তনুর সঙ্গে রয়েছেন? এ বার জল্পনা শুরু হল বর্তমান রাজ্য কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা লকেটের অবস্থান নিয়েও।

Previous articleঅবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আটক ভারতীয় যুবক
Next articleCorona update: নাকে স্প্রে করলে সারবে করোনা?