Thursday, August 28, 2025

‘অপূরণীয় ক্ষতি’, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ অজয়-ঊষা-হৈমন্তীর

Date:

Share post:

গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন সঙ্গীতশিল্পী। থামল দীর্ঘ লড়াই। ৫০ বছরেরও বেশি সময় একাধিক ভাষার ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এছাড়া বাংলা আধুনিক গান ও ধ্রুপদী সঙ্গীতেও তিনি ছিলেন সমান পারদর্শী। উস্তাদ বড়ে গুলাম আলি খাঁর শিষ্যা ছিলেন ‘গীতশ্রী’।

গীতশ্রীর প্রয়াণে শোকের ছায়া সব মহলে। এদিন গীতশ্রীর স্মৃতিচারণায় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলেন,”কোনও ভাষা তো নেই। সবাই একদিন পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন কিন্তু দুঃখজনক। তিনি আমার গুরু বোন ছিলেন। দীর্ঘদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, উত্তম কুমার একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। যাওয়ার আগে দুঃখও পেয়ে গিয়েছেন। খুব খারাপ লেগেছে। ওঁর প্রতি শ্রদ্ধা কোনও ভাষা দিয়ে ব্যক্ত করার নয়। গানের স্বপ্ন দেখাবার মানুষ চলে গেলেন। অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলার আকাশে মাতৃসুলভ নক্ষত্রের পতন। ওঁকে কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। উনি অমর হয়ে থাকবেন।”

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন ঊষা উথ্থুপ। তিনি বলেন, “খবরটা শুনে সারা গায়ে কাঁটা দিচ্ছে। আমরা ভেবেছিলাম উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। খবরটা সত্যিই খুবই দুঃখজনক। এখনও ভাবতে পারছি না যে সন্ধ্যাদি আর নেই। খুবই শান্ত স্বভাবের মানুষ ছিলেন সন্ধ্যাদি।”

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে হৈমন্তী শুক্লা বলেন, “খবরটা বিশ্বাস হচ্ছে না। ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে উঠবেন। সন্ধ্যাদি আমাদের মায়ের মতো ছিলেন। অত্যন্ত ডাউন-টু-আর্থ মানুষ ছিলেন তিনি। সন্ধ্যাদি আমার গান শুনতেন, আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন অনেকবার। আমাদের মাথার থেকে ছাদ সরে গেল।”

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেন, “সন্ধ্যা দির যখন প্রথম গান বেরলো, তখন আমি খুব ছোট। ওগো মোর গীতিময় গানটা যখন বেরলো তখন আমি খুব ছোট। এই গানটা আমিও পরবর্তীকালে ওকে শুনিয়েছি। কি যে বলব বুঝতে পারছি না। গানের জগতের মাতৃবিয়োগ বলে না। তেমনই হল। সেই মাতৃবিয়োগ হল। আর মায়ের কাছ থেকেই তো সন্তানরা শিক্ষা পান। ওঁর গান শুনেই আমরা শিক্ষা পেয়েছি।”

উস্তাদ রাশিদ খান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করে বলেন, “ছোটোবেলা থেকে আমি দিদিকে দেখে আসছি। খুব খারাপ লাগছে। আমাদের মাথার ছাদ চলে গেল। খুব মিস করবো সন্ধ্যাদিকে। আমার সঙ্গে বন্দিশ নিয়ে চর্চা করতেন। আমার মায়ের মতোই ছিলেন তিনি।”

আরও পড়ুন- ‘সন্ধ্যাদির সঙ্গে দীর্ঘদিনের হৃদ্য সম্পর্ক ছিল, তাঁর মৃত্যুতে আমার অগ্রজাকে হারালাম’, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

spot_img

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...