আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার করা হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার নির্বাচন কমিশনের উপরেই ছাড়ল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুনঃAnis Case: সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের পরিবার, নোবেল থেকে নন্দীগ্রাম সবেতেই ফেল CBI

বুধবার আসন্ন ১০৮টি পুরসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে কিনা, তা নিয়ে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপি সহ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷ পাশাপাশি যে জেলাগুলিতে ভোট হবে, সেখানকার এসপি, এসডিপিও সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে কমিশনকে৷ নির্দেশে এও বলা হয়েছে, আলোচনার পরে যদি রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী না ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়, তার ব্যাখ্যাও লিখিত আকারে আদালতকে জানাতে হবে।পাশাপাশি, নিরপেক্ষ আইএএস অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ এ ছাড়াও কাঁথি পুরসভার সব ইভিএম পেপার সিল করার নির্দেশও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷

তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশে অখুশি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সম্ভবত হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে চলেছে তারা৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পুরভোট৷ তার আগে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানিয়েও সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বিজেপি৷

এপ্রসঙ্গে সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এর আগে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচন যখন যেভাবে চেয়েছে বিজেপি তাই করেছে। তাও বিজেপির শোচনীয় হার হয়েছে। মানুষ যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই আছে, তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও কিছু হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া বাংলায় এখন কেউ নেই। বিজেপি যেখানে যেতে চাইছে যাক ।





