আজ বইমেলার উদ্বোধন, মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১০টি বইয়েরও প্রকাশ

করোনা আবহ অনেকটাই কেটে যাওয়ায় এবার বড় করেই হচ্ছে বইমেলা। ৬০০টি বুকস্টল এবং ২০০টি লিটিল ম্যাগাজিন স্টল হবে বলে জানিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ

আজ ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধন। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা নতুন ১০টি বই প্রকাশ পাবে। করোনার দাপাদাপিতে মাঝের একটা বছর পাঠকরা একটু বঞ্চিত হলেও ফের নিজের লেখনীর মাধ্যমে বাংলার মানুষ ফের যোগাযোগ গড়বেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে, লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নতুন এই ১০টি বই হাতে পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পাঠকদের মধ্যে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:বিজেপির ডাকা বন্‌ধে কোনও প্রভাব নেই, রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিক জনজীবন

৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলার বিশিষ্ট সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী এবং কবি, সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনেরা।

করোনা আবহ অনেকটাই কেটে যাওয়ায় এবার বড় করেই হচ্ছে বইমেলা। ৬০০টি বুকস্টল এবং ২০০টি লিটিল ম্যাগাজিন স্টল হবে বলে জানিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। সেন্ট্রাল পার্ক চত্বরে ৯টি তোরণ হবে, যার প্রতিটি থেকেই মেলায় প্রবেশ এবং বাহিরের সুবিধা থাকবে। তিনটি তোরণ হবে বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বইয়ের আদলে। এছাড়া বিশ্ববাংলা গেট, সত্যজিৎ রায় গেট এবং অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর গেট থাকবে।

এবার বইমেলায় দুটি হল হবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ঋষি অরবিন্দের নামে। লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন হবে কবি-সম্পাদক শম্ভু রক্ষিত এবং প্রভাত চৌধুরীর নামে। এছাড়াও থাকছে প্রেস কর্নার এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মুক্তমঞ্চ।

আয়োজক গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ বইপ্রেমী মানুষদের জন্য অতিরিক্ত সরকারি বাস চালাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহন দফতর। নির্দিষ্ট ভাড়ায় বিভিন্ন রুটে চলবে অটো। এছাড়াও এবার বইমেলাকে পরিবেশবান্ধব সবুজ করে তোলার জন্য রাজ্য সরকারের বনদপ্তর বিশেষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

মেলায় মেডিকেল সহায়তা কেন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করবে বইমেলার হেলথ পার্টনার পিয়ারলেস হসপিটাল। সিইএসসির সহায়তা থাকছে বইমেলার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। এবার বইমেলায় ব্রডব্যান্ড পার্টনার অ্যালায়েন্স।

গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো আরও হয়েছে, ৪৫ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এবার বিশ্বের ২০টি দেশের পাবলিশার্সরা অংশগ্রহণ করেছে। থিম কান্ট্রি বাংলাদেশের প্যাভিলিয়নেই থাকছে ৫০টি প্রকাশক সংস্থা। এবারই প্রথম কলকাতা বইমেলায় অংশ নিয়েছে ইরান।

প্রতি বছরের মতো এবারও বইমেলায় সিইএসসি-এর সুসজ্জিত সেন্টারেন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি নজর কাড়বে। বইমেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন ১৫ জন করে ভাগ্যবান বিজেতা পাবেন ১ হাজার টাকা করে বই কেনার গিফট কুপন। বই কিনুন লাইব্রেরি জিতুন। এবার মেলায় চারদিন হবে বই বাম্পার লটারি। যেখানে প্রতিদিন একজন করে ভাগ্যবান বিজেতা নিজের লাইব্রেরি ভরিয়ে তুলতে ২৫ হাজার টাকার গিফট কুপন পাবেন।

এবার বইমেলায় এক্সক্লুসিভ ডিজিটাল পার্টনার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। এই প্রথম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ভার্চুয়ালি দেখা যাবে গোটা বিশ্বজুড়ে। গিল্ডের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ এবং ওয়েবসাইটে তা দেখা যাবে। বইমেলা-২০২২ সরাসরি সম্প্রচারিত হবে SNU টিভিতে। যাঁরা বইমেলা সরাসরি আসতে পারবেন না, তাঁরা ঘরে বসেই কলকাতা বইমেলার সমস্ত বিনোদন উপভোগ করতে পারবেন ডিজিটাল মাধ্যমে।

এছাড়াও কলকাতা বইমেলার অন্যতম আকর্ষণ লিটারেচার ফেস্টিভেল হবে ১১ ও ১২ মার্চ।

Previous articleবিজেপির ডাকা বন্‌ধে কোনও প্রভাব নেই, রাজ্যজুড়ে স্বাভাবিক জনজীবন
Next articleজলের আর এক নাম জীবন, বলছে বিথসল আলকালাইন হেলদি ওয়াটার