সুব্রতদার কেন্দ্রে দিদি প্রার্থী করেছেন, বালিগঞ্জের মানুষের প্রত্যাশা রাখার বার্তা দিলেন বাবুল

"সুব্রতদার কেন্দ্র। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যাশা বেশি থাকবে। সব মানুষের কাছে পৌঁছনের চেষ্টা করবো। যে সুযোগ দিয়েছেন দিদি, তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবো"

সুব্রত মুখোপাধ্যাযয়ের প্রয়াণে শূন্য হওয়া বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন আগামী ১২ এপ্রিল। বালিগঞ্জ তৃণমূলের খাসতালুক। যেখান থেকে বছরের পর বছর নির্বাচিত হয়েছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হাইভোল্টেজ কেন্দ্র। বালিগঞ্জের ভোটের সেই গুরুত্ব বারবার বোঝাতে চেয়েছেন বাবুল। তৃণমূলনেত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাই বালিগঞ্জ সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাবুল বলেন, “সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের এলাকা। আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এ জায়গার।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশের বিধানসভা। ফলে যথেষ্ট সিরিয়াসলি আমায় লড়তে হবে। দল যেভাবে বলবে সেভাবে লড়ব। মাঠে যখন নেমে পড়েছি তখন খেলা হবে। সুব্রতদার কেন্দ্র। তাই খুব স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যাশা বেশি থাকবে। সব মানুষের কাছে পৌঁছনের চেষ্টা করবো। যে সুযোগ দিয়েছেন দিদি, তার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করবো।”

আজ, সোমবার বিকেলে প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমবার বালিগঞ্জ কেন্দ্রে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। রাসবিহারির বিধায়ক তথা দক্ষিণ কলকাতা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার, সাংসদ মালা রায় সহ বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ৭টি ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরদের সঙ্গে এদিন বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক করেন বাবুল। দেবাশিস কুমার জানান, প্রার্থীকে নিয়ে
যত বেশি সম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছনোই তাঁদের লক্ষ্য।
৭টি ওয়ার্ডে ৭টি কর্মিসভা হবে। ১৬ মার্চ প্রথম কর্মিসভা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় জন্য একটু দেখেশুনে প্রচার করা হবে।

এদিন বাবুল জানান, একটা সময় তিনি রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন। রাগ ও বিতৃষ্ণায় তিনি সরে যেতে চেয়েছিলেন রাজনীতি থেকে। তিনি মনে করেন না, বাংলা থেকে একজনও সাংসদ নেই যার কেন্দ্রের পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা নেই। বিজেপির সেই বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব দেখেই সাহহিকতার সঙ্গে রাজনীতি থেকে সরে আসতে চেয়েছিলেন। সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশে দাঁড়ান এবং বাংলার মানুষের জন্য কাজ করার কথা বলেন তাঁকে।

বাবলুর দাবি, তিনি যখন যাঁর সঙ্গে কাজ করেন, সেখানেই নিজের সেরাটা দিয়ে থাকেন। বিজেপিতে যখন ছিলেন সেটা করেছিলেন, এখন তৃণমূলে এসেও মন দিয়ে কাজ করতে চান। সকলকে নিয়ে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চান। তাঁকে যদি কেউ পছন্দ না করেন, প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে চান বাবুল। শুনতে চাইবেন তাঁদের সমস্যার কথা।

এদিন তাঁর পুরোনো দল বিজেপির ও দিলীপ ঘোষকেও একহাত নেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “বিজেপি কুপমণ্ডূক। আমার রাজনৈতিক ইতিহাস তো আমি বদলাতে পারবো না। তবে আমি সাহস করে এগিয়েছি। সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আর দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বেশি কথা বলতে আমার রুচিতে বাঁধে। আমি আসানসোলের সাংসদ থাকাকালীন দিলীপ ঘোষ ক্রমাগত আমার টিমকে ডিস্ট্রাব করে গিয়েছে।”

আসানসোলে তাঁর ছেড়ে আসা লোকসভা কেন্দ্রে এবার উপনির্বাচনে তৃণমূল শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী করেছে। তাই তিনি সুযোগ পেলে আসানসোলে গিয়েও শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করবেন বলে জানান বাবুল।

আরও পড়ুন- কীভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস খুনের মূল অভিযুক্ত?

 

Previous articleকীভাবে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল পানিহাটির তৃণমূল কংগ্রেস খুনের মূল অভিযুক্ত?
Next articleIndia Team: সিরিজ জয় ভারতের, লঙ্কানদের ২৩৮ রানে হারাল রোহিত শর্মার দল