বিভাজন নয়, ঐক্যে সায় কংগ্রেসের “জি -২৩” গোষ্ঠীর নেতাদের

বুধবার প্রবীণ নেতা গুলাম নবী আজাদের (Ghulam Nabi Azad)বাসভবনে গোষ্ঠীর নৈশভোজে নেতাদের আলোচনায় ওই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।

২০২৪ এর লক্ষ্যে বিজেপিক ধরাশায়ী করতে ঠিক কতটা শক্তিশালী কংগ্রেস (Congress)? বিগত নির্বাচন উপনির্বাচনে যেভাবে পর্যুদস্ত হতে হয়েছে (দু একটি ব্যতিক্রম ছাড়া), তাতে আদৌ কি দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখছেন কংগ্রেসকে (Congress) নিয়ে? নির্বাচনের লড়াইয়ে যখন ক্রমাগত পিছিয়ে পড়ছে কংগ্রেস তখন বিভাজনই কি একমাত্র রাস্তা ? এমন ভাবনা যখন রাজনৈতিক মহলে ঘোরাফেরা করছে ঠিক তখনই ঐক্যের পক্ষে সায় কংগ্রেসের “জি -২৩” (G-23) গোষ্ঠীর নেতাদের । বুধবার প্রবীণ নেতা গুলাম নবী আজাদের (Ghulam Nabi Azad)বাসভবনে গোষ্ঠীর নৈশভোজে নেতাদের আলোচনায় ওই ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে।

কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতারা আপাতত পার্টিকে বিভক্ত করতে চান না বলেই সূত্রের খবর। তবে পাশাপাশি ভারতের প্রাচীনতম দলে জাতীয় কংগ্রেসের পুনরুত্থান নিশ্চিত করার জন্য গান্ধী পরিবারের অনুগতদের দলের মূল পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিদ্রোহী নেতাদের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে একথা জানিয়েছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতাদের ঘনিষ্ট একটি সূত্র। বুধবার বিদ্রোহী নেতাদের বৈঠকে হাজির ছিলেন কপিল সিবাল(Kapil Sibal),মণীশ তিওয়ারি (Manish Tiwari),আনন্দ শর্মা (Anand Sharma),পৃথ্বীরাজ চব্যন, শশী থারুর (Shashi Tharoor), ভূপিন্দর সিং হুডা, রাজ বব্বর, অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রীণীত কৌর, শঙ্কর সিং বাঘেলা ও মণিশঙ্কর আইয়ার। এদের মধ্যে শঙ্কর সিং বাঘেলা আগে কংগ্রেসে থাকলেও, ২০১৭ সালে দল ছেড়ে যান এনসিপিতে যোগ দেন। অবশ্য এক বছরের মধ্যেই তিনি এনসিপিও ছেড়ে দেন। সূত্রের খবর, তিনি ফের একবার কংগ্রেসেই যোগদান করতে চান।

বিদ্রোহী নেতারা তাদের বৈঠকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ১৮ জন নেতার স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি জারি করে জানান, কংগ্রেস পার্টির সদস্যরা বিধানসভা নির্বাচনের সাম্প্রতিক ফলাফলের হতাশাজনক ফলাফল এবং কর্মী ও নেতা উভয়েরই অবিরাম দলত্যাগের বিষয়ে আলোচনা করার জন্যই মিলিত হয়েছিলেন । বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে দলকে আবার স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করার একমাত্র উপায় হল কংগ্রেস পার্টির সকল স্তরে সমষ্টিগত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নেতৃত্ব এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের মডেল তৈরি করা। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিকল্পের পথ প্রশস্ত করার স্বার্থে কংগ্রেস পার্টিতে একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা আবশ্যক। বৈঠকে উপস্থিতরা ছাড়াও বিবৃতিতে সাক্ষর করেছেন, পি জে কুরিয়েন, এম এ খান, রাজিন্দর কৌর ভাট্টল, সন্দীপ দীক্ষিত, কুলদীপ শর্মা, বিবেক তানখা।

অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং বিদ্রোহী ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম যোগাযোগে, দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধী সিনিয়র নেতা গুলাম নবী আজাদের সাথে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। সোনিয়া এবং কিছু বিদ্রোহী নেতার মধ্যে খুব শীঘ্রই একটি বৈঠক হওয়ার কথা আছে বলে জানিয়েছেন দলের এক শীর্ষস্থানীয় সূত্র। এরই মধ্যে, কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে সোনিয়া গান্ধী দলের পাঁচ নেতাকে নিযুক্ত করেছেন ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সাংগঠনিক পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার জন্য।এই তালিকায় আছেন গোয়ায় রাজ্যসভার সাংসদ রজনী পাতিল, মণিপুরে জয়রাম রমেশ, পাঞ্জাবে অজয় মাকেন, উত্তরপ্রদেশে জিতেন্দ্র সিং এবং উত্তরাখণ্ডে অবিনাশ পান্ডে ।

 

Previous articleকপ্টার কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা সচিবের!
Next articleহলুদ শাড়ি ও পাঞ্জাবিতে সেজে  শপথ নিলেন ময়নাগুড়ি পুরসভার কাউন্সিলররা