Friday, November 7, 2025

Uttarakhand: ৪০০ বছর আগের অভিশাপের আতঙ্কে হোলি খেলেন না গ্রামবাসীরা! 

Date:

Share post:

আজ চারিদিকে ফাগুনের আগুন, পলাশ আজ রং ধরিয়েছে মনের কোণে। বঙ্গ (Bengal)জুড়ে রং আর আবিরের মূর্ছনা। রাত পোহালেই হোলি(Holi), কথায় বলে বঙ্গের বসন্ত পূর্ণিমার পরের দিন সারা দেশ রং এর উৎসবে (Holi festival)মেতে ওঠে। কিন্তু এই রঙিন অনুভূতি আর মুহূর্তের অনেক দূরে সরিয়ে রাখেন উত্তরাখণ্ডের(Uttatakhand) তিন গ্রামের বাসিন্দারা।

জনশ্রুতি, উত্তরাখণ্ডের তিনটি গ্রাম ৪০০ বছরের অভিশাপ বয়ে নিয়ে চলেছে আজও , রুদ্রপ্রয়াগের(Rudraprayag) প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে দীর্ঘ ৪০০ বছর ধরে রং খেলা হয় না কারণ ‘হোলি’ তে মানা। স্থানীয়দের বিশ্বাস, গ্রামের যদি কেউ হোলি উৎসব (Holi festival)পালন করে, তবে গোটা গ্রামেই বড় কোনও বিপদ নেমে আসবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মহামারি নেমে আসতে পারে। সেই কারণেই প্রতি বছর এই দিনটিতে গ্রামবাসীরা কার্যত গৃহবন্দি থাকেন।

Russia Ukraine War: ফুরিয়ে আসছে রসদ, ইউক্রেন হামলার তৃতীয় সপ্তাহে কপালে ভাঁজ রাশিয়ার

কিন্তু কেন এমন বদ্ধমূল ধারণা  গ্রামবাসীদের মনে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মনে আসে প্রবাদ ” বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর”।  স্থানীয়দের বিশ্বাস, প্রায় ৪০০ বছর আগে দেবী ত্রিপুরা বালা ত্রিপুর সুন্দরী অভিশাপ দিয়ে গিয়েছিলেন। হোলি উদযাপনের অপরাধে শয়ে শয়ে মানুষ কলেরা ও চিকেন পক্সে মারা গিয়েছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান বাকিরা। পরে ফিরে এসে তাঁরা  দেবীর কাছে পুজো দিয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট করেন। এরপর থেকেই ওই তিনটি গ্রামে হোলি খেলা নিষিদ্ধ।

স্থানীয় এক পুরোহিত জানান, এই তিন গ্রামের বাসিন্দারা মূলত কাশ্মীরের কুয়েলি, খুরজান ও জৈন্ডলা থেকে উত্তরাখণ্ডে চলে এসেছিলেন। তার আগে রাজপুতদের বিস্ত গোষ্ঠী এই গ্রামগুলিতে থাকতেন। কিন্তু আচমকাই মহামারি দেখা যায় গ্রামে। কলেরা ও চিকেন পক্সে মারা যান বহু মানুষ। সেই সময়ই গ্রামে এই প্রবাদ প্রচলিত হয় যে, ত্রিপুরা বালা ত্রিপুর সুন্দরীর অভিশাপেই মড়ক লেগেছে। কথিত আছে যে দেবী রং পছন্দ করতেন না। গ্রামবাসীরা রঙ খেলাতেই দেবী রুষ্ট হন এবং অভিশাপ দেন।

KKR: প্রকাশিত হল কেকেআরের নতুন জার্সি

রাজপুতদের চলে যাওয়ার পর পান্ডে গোষ্ঠী এই গ্রামে থাকতে আসেন, যদিও তা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। অবশেষে সাতটি পুরোহিত সম্প্রদায় এবং নেগী রাজপুতদের চারটি সম্প্রদায় কাশ্মীর থেকে আসেন এবং চামোলি জেলার কোঠা গ্রামে বসবাস করতে শুরু করেন। দেবীর অভিশাপের ওই প্রচলিত প্রবাদ জানার পরই তাঁরা চিরতরে হোলি উৎসব বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই ওই গ্রামের সীমানা যেখানে শেষ সেখানে অনেকেই উদ্যোগ নিয়ে রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠেন, কিন্তু অংশগ্রহণ করেন না গ্রামবাসীরা।

 

spot_img

Related articles

দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ দুর্যোগ পেরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ। রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার পরিষেবা ও পদক্ষেপে যোগাযোগ...

তালিকায় নাম নেই! কেউ স্ত্রীর জন্য, কেউবা বিএলও-র সামনেই প্রাণ দিলেন

রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আতঙ্কে কেউ আত্মঘাতী, কেউবা...

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...

পথশ্রী প্রকল্প বেনিয়ম বরদাস্ত নয়: স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তাগুলির মান বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার...