খাটে মেয়ে, মেঝেতে স্ত্রী এবং সিলিংয়ে ঝুলছে যুবকের নিথর দেহ। কাটোয়ার পানুহাটে এক পরিবারের একসঙ্গে তিন সদস্যের রহস্যমৃত্যু। আত্মঘাতী নাকি ঠান্ডা মাথায় খুন? গোটা ঘটনাটিকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে এক যুবক।

আরও পড়ুন:India Team: আসন্ন দুই প্রীতি ম্যাচের জন্য ২৫ জনের ভারতীয় দল ঘোষণা করলেন ইগর স্টিমাচ
কাটোয়ার পানুহাট পোস্ট অফিসের পাশে স্ত্রী ও বোবা মেয়েকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন শেখ নইম(৩৫)। তিনি ছিলেন পেশায় গাড়ির চালক। কাজের প্রয়োজনে প্রায়শই বাড়ির বাইরে থাকতে হতো তাঁকে। বাড়িতে সেইসময় একাই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন নইমের স্ত্রী শেফালী। রবিবার বাড়িতেই ছিলেন নইম ও তাঁর পরিবার। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলে প্রতিবেশীরা। ঘরে ঢুকেই শিউরে ওঠে তারা। দেখেন বিছনার উপরে পড়ে রয়েছে পিঙ্কির নিথর দেহ, মেঝেতে শেফালীর মৃতদেহ। তার গলায় গামছার ফাঁস লাগানো। আর সিলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে ঝুলছে নইমের দেহ।

ঘটনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসে কাটোয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মেয়ে ও স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন নইম। যদিও পরিবারের দাবি, স্ত্রীর সঙ্গে নইমের কোনওদিনই কেনও বিবাদ তাদের নজরে আসেনি।
