জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির অত্যন্ত সফল নেত্রী তিনি। তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত রাজ্য বিজেপিতে(BJP) তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। বগটুই কাণ্ডে শাহ সাক্ষাতের পর সাংবাদিক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে(Locket Chatterjee)। তবে বগটুই গ্রামে বিজেপি প্রতিনিধিদল পাঠালেও সেখানে বাতিলের তালিকায় পড়লেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, আসন্ন রাজ্যের দুই কেন্দ্রে নির্বাচনে স্টার প্রচারকের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হল জনপ্রিয় এই বিজেপি নেত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় গুঞ্জন উঠেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

রামপুরহাটের বগটুইয়ে গ্রামে ৮ মৃত্যুর ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে কোনও কসুর করছে না রাজ্য বিজেপি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য বিজেপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ সেখানে যান। এই দলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতা ব্রজলাল, বিজেপি সাংসদ সত্যপাল সিং, কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ কেসি রামমূর্তি। তবে এই প্রতিনিধি দলে জায়গা হল না লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, আগামী ১২ এপ্রিল রাজ্যের দুই কেন্দ্র বালিগঞ্জ বিধানসভা ও আসানসোল লোকসভায় নির্বাচন। ইতিমধ্যেই এই দুই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোর কদমে ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্য গেরুয়া শিবির। প্রকাশ্যে আনা হয়েছে স্টার প্রচারকদের তালিকা। অদ্ভুতভাবে সেই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন লকেট। এই ঘটনায় রীতিমত অবাক লকেটের অনুগামীরা।

আরও পড়ুন:পোড়ানোর আগে বেধড়ক মারধর করা হয় বগটুইকাণ্ডে নিহত ৮ জনকে! চাঞ্চল্যকর তথ্য
তবে রাজ্য রাজনীতিতে লকেটকে এভাবে সাইডলাইনে ফেলে দেওয়ার পেছনে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে ক্ষমতাশীল একাংশের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। এর আগেও রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে বাদ দেওয়া হয়েছিল লকেটকে। অথচ জাতীয় ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব পাওয়ার পর সফলভাবে তা পালন করেছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কার্যত ইতিহাস গড়ে দ্বিতীয় বার বিজেপির দখলে গিয়েছে উত্তরাখণ্ড। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব ক্রমশ চরম আকার নিয়েছে। যার জেরেই রাজ্যে ক্ষমতাশীল একাংশের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে লকেটের। শুধু তাই নয়, দেখা গিয়েছে বিক্ষুব্ধ পুরনো বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে লকেটের ঘনিষ্ঠতা। বারবার তাদেরকে নিয়ে বৈঠকেও বসেছেন তিনি। যার জেরেই রাজ্যের কোনো কর্মসূচিতে সেই শীর্ষ নেতৃত্বদেন অঙ্গুলিহেলনে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে সাইড লাইনে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
