রামপুরহাটে বগটুই গ্রামে প্রথমে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে বোমা মেরে নৃশংস ভাবে খুন। এবং সেই ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু ৮ জনের। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে একের পর এক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী।
আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর পুলিশি অভিযান, রাজ্যের একাধিক জেলায় উদ্ধার বোমা-অস্ত্র
ঘটনার রাতে আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে একদিকে যেমন ক্ষতিপূরণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেন। তবে সবচেয়ে বেশি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে। নিহতের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলার পর অভিযোগের ভিত্তিতে বগটুই গ্রামে দাঁড়িয়েই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল শেখ গ্রেফতারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং তাঁর এই নির্দেশের আড়াই ঘণ্টার মধ্যে আনারুলকে গ্রেফতারও করে তারাপীঠ থানার পুলিশ।একইসঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতির জন্য সাসপেন্ড করা হয় রামপুরহাট থানার IC ত্রিদীপ প্রামাণিককে। কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে পাঠানো হয়েছে SDPO সায়ন আহমেদকে।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে কারা খুন করল? গ্রামের ১০টি বাড়িতে আগুন কারা কেন লাগলো? ভাদু শেখকে বোমা মেরে খুন ও তারপর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার মতো দুটি পৃথক ঘটনার মামলারই তদন্ত করছে রাজ্য সরকারের সিট। যা নিয়ে হাইকোর্টে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে কেস ডায়েরিও। আজ, শুক্রবার রামপুরহাট মামলার রায় ঘোষণা করবে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
এর আগে, গত বুধবার রামপুরহাট কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশ মেনেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য।