মমতার দেখানো পথে পাঞ্জাবে এবার ‘দুয়ারে রেশন’ চালুর ঘোষণা ভগবন্ত মানের

তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ‘রাজ্যে দুয়ারে'(Duare Ration) রেশন প্রকল্প চালু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। আর সেই পথে হেঁটে এবার পাঞ্জাবেও এই প্রকল্প চালুর ঘোষণা করলেন আপের নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান(Bhagwant Maan)। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় নিজ রাজ্যে এই প্রকল্প চালুর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত। তিনি জানান, এখন থেকে রাজ্যবাসীকে আর রেশনের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না, সরকার বাড়ি এসে পৌঁছে দিয়ে যাবে রেশন সামগ্রী। গুনমানের কথা মাথায় রেখে দেওয়া হবে চাল, ডাল, গমের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।

পাঞ্জাবে নির্বাচনের আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে আম আদমি পার্টির তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, জয়ী হলে এই রাজ্যে চালু করা হবে দুয়ারে রেশন প্রকল্প। এরপর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে প্রথমবার পাঞ্জাব রাজ্যে জয়ী হয় আম আদমি পার্টি। ১১৭ বিধানসভার পাঞ্জাবে ৯২ টি আসনে জেতে আপ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন ভগবন্ত মান। ক্ষমতা লাভের পর এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মন দিলেন তিনি। সোমবার এক ভিডিও বার্তায় মান বলেন, “রেশন নিতে কিংবা রোজকার প্রয়োজনীয় খাবারদাবারের জন্য আর কাউকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না। এখন থেকে আমাদের সরকারি আধিকারিকরা গিয়ে আপনার সমস্ত নথি পরীক্ষা করে বাড়িতেই তা পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি তিনি এই আশ্বাসও দিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্যের গুণমান নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার সেসব স্বাস্থ্যবিধি ও গুণমান অক্ষুণ্ণ রেখেই সরবরাহ করা হবে। এ প্রসঙ্গে মান উল্লেখ করেন, দিল্লিতেও এভাবে রেশন সরবরাহ ব্যবস্থা শুরু হয়েছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা চালানো যায়নি। তবে পাঞ্জাব সরকার নাগরিক পরিষেবায় উন্নতির স্বার্থে এই প্রকল্প চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর।”

আরও পড়ুন:ED, CBI-এর অপব্যবহার করছে বিজেপি: জোটবার্তা দিয়ে অবিজেপি নেতৃত্বদের চিঠি মমতার

যদিও দুয়ারে রেশ্ন প্রকল্প দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম চালু হয় পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ২০২১ সালে পাহাড় এবং জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ির দোরগোড়ায় রেশন পৌঁছনোর মাধ্যমে সর্বপ্রথম শুরু হয় পরিষেবা। এবার অবিজেপি পাঞ্জাব রাজ্যেও আপের হাত ধরে চালু হল দুয়ারে রেশন।

Previous articleস্যানিটারির সচেতনতায় ‘ সম্পূর্ণা’
Next articleCorona update: কমল সংক্রমণ, তবে ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যু হার ঘিরে বাড়ছে উদ্বেগ