পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটতে না মিটতেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাগাতার বাড়তে শুরু করেছে ৷ ন’দিনে মোট আটবার বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। বুধবার থেকে লিটারে পেট্রোলের দাম বাড়ল ৮৪ পয়সা এবং লিটারে ডিজেলের দাম বাড়ছে ৮০ পয়সা।স্বভাবতই মাথায় হাত মধ্যবিত্তর।

আরও পড়ুন:Breakfast News:ব্রেকফাস্ট নিউজ

বুধবার পেট্রোলের নতুন দাম হল লিটারে ১১০ টাকা ৫২ পয়সা। ৯৪ টাকা ৬২ পয়সা থেকে বেড়ে ডিজেলের নতুন দাম হল লিটারে ৯৫ টাকা ৪২ পয়সা।গত চারমাস জ্বালানির দাম স্থির ছিল। পাঁচ রাজ্যের ভোট পর্ব মিটতেই লাগামছাড়া হারে দাম বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাসেরও। ২১ মার্চ পেট্রোলের দাম ছিল লিটারে ১০৪ টাকা ৬৭ পয়সা এবং ডিজেলের দাম ছিল লিটারে ৮৯ টাকা ৭৯ পয়সা।৯ দিনে ৮ বার বৃদ্ধি পেল পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৷২২ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত পেট্রোল-ডিজেলের দাম ৫.৬০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে ৷ নতুন দাম অনুসারে রাজধানী দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম হয়েছে ১০১.০১ টাকা ও ডিজেলের দাম ৯৭.২৫ টাকা ৷ কলকাতায় লিটার প্রতি পেট্রোল ১১০.৫২ টাকা ও ডিজেলের ডিজেলের দাম ৯৫.৪২ টাকা হয়েছে ৷ ফলত কলকাতায় পেট্রোল লিটার প্রতি ৮৪ পয়সা ও ডিজেল লিটার প্রতি ৮০ বেড়েছে ৷

প্রসঙ্গত, অতিমারি পর্ব শুরুর পর থেকেই দাম বেড়েছে জ্বালানির। আকাশছোঁয়া জ্বালানির দামে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘উত্তর প্রদেশের নির্বাচনের পর এটা মোদির রিটার্ন গিফট।’মঙ্গলবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূল যুব কংগ্রেস ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে যৌথভাবে এক মিছিলের ডাক দেওয়া হয় কলকাতায়। মিছিল শুরু হয় আশুতোষ কলেজ থেকে, শেষ হয় ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে। প্রতিবাদ মিছিলে পা মেলান সায়নী ঘোষ সহ দলের ছাত্র যুব শিবিরের পরিচিত নেতা-নেত্রীরাও। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন।

অন্যদিকে, পেট্রোপণ্যের দামবৃদ্ধিতে সরব হয়েছেন বামেরাও। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি টুইটারে লিখেছেন, “কোভিড মহামারীর ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠার পরেও আমজনতা যাতে স্বস্তিতে থাকতে না পারেন, তা নিশ্চিত করছে মোদি সরকার। মানুষকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা করছি। অন্তত এখন পেট্রোপণ্যের উপর কেন্দ্রীয় করে কাঁটছাট করুন এবং দাম কমানোর ব্যবস্থা করুন।”
