সোমনাথ বিশ্বাস (দার্জিলিং): ঠিক যেন ঘরের মেয়ে। ম্যালের অনুষ্ঠান থেকেই জানিয়ে ছিলেন পাহাড় তাঁর হৃদয়ে। পাহাড়কে তিনি ভালোবাসেন। তাই পাহাড়ের মেয়েকেই বাড়ির বউমা করে নিয়ে যাবেন। তিনিও পাহাড়ের মানুষের ঘরের মেয়ে। গোটা রাজ্যের অভিভাবক তিনি। সামলাতে হয় প্রশাসনিক দায়িত্ব। তাঁর মাঝেও তিনি ‘ডাউন টু আর্থ’, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যান।

আজ, বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ তথা দার্জিলিং সফরের শেষ দিন মুখ্যমন্ত্রী। ঠাসা কর্মসূচি শেষ করে দুপুরেই শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। কিন্তু শেষ দিলেও নিয়ম করে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সকাল থেকেই গোটা দার্জিলিং শহর ছিল ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া। তারই মাঝে ভিজে পাহাড়ি পথে বেশ কয়েক কিলোমিটার হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী। সারলেন জনসংযোগ। মমতাময়ী স্নেহে আদরও করলেন বাচ্চাদের। পাশাপাশি বানালেন মোমোও। মুখ্যমন্ত্রীর এমন ভূমিকার সাক্ষী থাকল পাহাড়বাসী।

আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: এত কাছে মুখ্যমন্ত্রী! আহ্লাদিত পাহাড়বাসী
বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ সফরের শেষদিনে দলীয় কর্মীদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরোন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাঁটতে হাঁটতেই আচমকে দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন তিনি। তারপর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। মনোযোগ সহকারে তাঁদের সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনেন। গোষ্ঠীর মেয়েদের কাছে মোমো বানানোর পদ্ধতি শেখেন মুখ্যমন্ত্রী। সবটা দেখে বলেন, ‘আমিও পারব’। এরপরই সেখানে দাঁড়িয়ে নিজে হাতে মোমো বানান তিনি। যা দেখে অভিভূত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা।

অন্যদিকে, গতকালই ঘোষণা করেছিলেন কলেজ স্ট্রিটের আদলে দার্জিলিংয়ে কফি হাউস তৈরি হবে। নামকরণ করেছিলেন ক্যাফে হাউস। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ এর কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে যে পথে হাউজ তৈরি হচ্ছে সেই জায়গাটিও এদিন দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে সময় কাটান। সেখানে বসে বসেই নতুন এই ক্যাফে হাউসের জন্য গানও বাঁধেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই গান দু’কলি গেয়ে শোনান রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, আজই উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় ফিরবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় দার্জিলিং ছাড়েন তিনি। সেখান থেকে শিলিগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বিকেল ৩টে ৩৫ মিনিটে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফেরার কথা রয়েছে তাঁর।
