বিদ্রোহ রুখতে বাতিলদের কমিটিতে জায়গা দিতে বাধ্য হল সুকান্তরা

একের পর এক সদস্যের বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া। নব্য বিজেপিদের নিয়ে অকারণ মাতামাতির জেরে আদি বিজেপির নেতা-নেত্রীদর মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ। এই অবস্থায় দল বাঁচাতে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড়া সব কমিটি ভেঙে দিলেন সুকান্ত মজুমদার। দলে লাগাতার বিদ্রোহ রুখতে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির  এ ছাড়া আর বিশেষ কিছু করণীয় ছিল না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর সেই অঙ্ক মেনেই  সুকান্ত ফিরিয়ে আনলেন পুরনোদের। আবার জায়গা পেলেন মাস কয়েক আগে পদ হারানো অনেকেই।

জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসুদের সঙ্গে বাদ গিয়েছিলেন প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সুকান্ত প্রতাপকে নতুন দায়িত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনলেন। দলের তহবিল সংগ্রহ কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পেলেন প্রতাপ। রাজ্য পদাধিকারী কমিটি থেকে বাদ যাওয়া তুষার মুখোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, সাওয়ার ধনধনিয়াকেও পৃথক পৃথক কমিটির দায়িত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনা হল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে নিয়ে আসা হল নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব। রাজ্যের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক রথীন্দ্র বসুকে সদস্য সংগ্রহ কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হল।  আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ নামে নতুন একটি কমিটি তৈরি হয়েছে বিজেপিতে। সেই কমিটির মাথায় নিয়ে আসা হল রজত ভরদ্বাজ মুখোপাধ্যায়কে। এই কমিটিতেই রয়েছেন  যুধাজিত সেন মজুমদার। এ ছাড়া বাদ পড়ে যাওয়া  সাংসদ জগন্নাথ সরকার, জ্য়োতির্ময় সিংহ মাহাতো, বিধায়ক মিহির গোস্বামীরাও জায়গা পেয়েছেন বিভিন্ন কমিটিতে।

Previous articleবাবুলের হয়ে বৃহস্পতিবার বালিগঞ্জে প্রচার অভিষেকের
Next articleইমরানের পরামর্শেই সংসদ ভাঙলেন পাক প্রেসিডেন্ট, ভোট ৯০ দিনের মধ্যে