অর্থ সংকটের জেরে কাবু শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। জ্বালানি, বিদ্যুতের ঘাটতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবার রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে৷ জনতার ক্ষোভে জ্বলছে রাজধানী কলম্বো (Colombo)৷ এর মাঝেই বড় সিদ্ধান্ত নিল সে দেশের সরকার। অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস (embassy)বন্ধ করল শ্রীলঙ্কা ।

শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি সংকটজনক। বাজারে চড়া দ্রব্যমূল্য, জ্বালানি সংকট, দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টার লোডশেডিং- শ্রীলঙ্কার মানুষ এখন নিত্যদিন এমনই চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি ৷ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ ৷ গত মাস থেকেই শুরু হয়েছে বিক্ষোভ ৷ ভারতসহ বিভিন্ন দেশ নানা ভাবে সাহায্য করছে শ্রীলঙ্কাকে , তবুও কোনভাবেই ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না। এই অবস্থায় নরওয়ে(Norway), ইরাক(Iraq ) ও অস্ট্রেলিয়ায়(Australia) তিনটি দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিল শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই নিয়ে ফের চিন্তা ভাবনা করা যাবে বলে দেশের সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মধ্যেই অন্তত ৪১ জন সাংসদ জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে, মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের( President Gotabaya Rajapaksa)ক্ষমতাসীন জোট সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করেছে।

এপ্রিলের শেষেই বঙ্গ সফরে আসতে চলেছেন শাহ-নাড্ডা

প্রসঙ্গত স্বাধীনতার পর থেকে এত বড় সমস্যায় এর আগে কখনও পড়ে নি শ্রীলঙ্কা। এই অবস্থায় দেশের মানুষ খাদ্য, জ্বালানী এবং ওষুধের ক্রমবর্ধমান ঘাটতির জন্য রাষ্ট্রপতিকেই দায়ি করছেন। গোতাবায়া রাজাপাকসে( President Gotabaya Rajapaksa) ও তার বড় ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে( Mahinda Rajapaksa)ছাড়া শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যই পদত্যাগ করেছেন বলেই জানা গেছে ।
