আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার(Satrughna Sinha) প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ময়দানে নেমেছেন বিজেপির অগ্নিমিত্রা পাল(Agnimitra Paul)। শনিবার তাঁর হয়েই প্রচারে এসেছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ(Ravishankar Prasad)। এদিন শেষ লগ্নের প্রচারে এসে আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Banerjee) তীব্র আক্রমণ করলেন রবিশঙ্কর। যদিও তাঁর বক্তব্যের পাল্টা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন(Shantanu Sen) জানিয়ে দিলেন, গুরুত্ব হারিয়ে মনকষ্টে ভুগছেন রবিশঙ্কর তাই মোদি-শাহকে খুশি করতেই এইসব বলছেন।

শনিবার আসানসোলের মাটিতে দাঁড়িয়ে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে রবিশঙ্কর বলেন, “রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা নেই বাংলার জনতার। তারা জানে এ রাজ্যে নিরপেক্ষ তদন্থবে না, তাই বারবার আদালতে ছুটে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মমতা সরকার এ কেমন সরকার চালাচ্ছে? নির্দোষ মানুষ আর কতদিন মারা যাবেন?” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “উনি(পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলেন, বিজেপিকে হারাতে সব দল এক হয়ে যাও। রাহুল গান্ধীও একই কথা বলেন, আবার এই রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা বলেন, এখানে ৩৫৬ ধারা লাগু করা হোক। আসলে বাংলায় এক ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।”
আরও পড়ুন:দলীয় প্রার্থী শত্রুঘ্নর সমর্থনে আসানসোলে অভিষেকের রোড শো-এ জনসুনামি

যদিও রবিশঙ্করের এহেন মন্তব্যের পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, “গুরুত্ব হারিয়ে মনকষ্টে ভুগছেন রবিশঙ্কর। তাই মোদি-শাহকে খুশি করতেই এইসব বলছেন।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত মোদি সরকার পুলিশ স্টেট তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। তারজন্য গায়ের জোরে পাস করানো হচ্ছে একের পর এক বিল। কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে বিরোধী শূন্য করার লক্ষ্যে। গোটা দেশ এসব দেখছে। আর বাংলায় যদি আইনের শাসন না থাকত তবে বিজেপি নির্বাচনের সময় জলের মতো টাকা খরচ করে, ডেলি প্যাসেঞ্জারি করে, ইডি সিবিআই লাগিয়ে, মিথ্যা অপপ্রচার করার পরও কীভাবে বাংলার মানুষ ২১৩ আসনে তৃণমূলকে জেতালো? জনতা জনার্দন ভোটের ময়দানে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বাংলায় আইনের শাসন রয়েছে।”
