নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে শীতলকুচি কাণ্ডের বর্ষপূর্তি পালন তৃণমূলের, বিচারের অপেক্ষায় গ্রামবাসীরা

তখন ভোটদান পর্ব চলছে। তার মাঝেই হঠাৎ কোচবিহারের শীতলকুচির জোড় পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলির ১২৬ নম্বর বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার তরতাজা যুবকের

আজ, ১০ এপ্রিল। গতবছর ঠিক এই দিনেই বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণের সময় রক্তে রাঙা হয়েছিল কোচবিহারের(Coochbihar) শীতলকুচির(Sitalkuchi) জোড় পাটকি গ্রাম। আচমকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় পাঁচজনের। ওই দিনটিকে স্মরণে রেখে ‘শহিদ দিবস’ পালন করল জেলা তৃণমূল। আজ, রবিবার জেলা জুড়েই শহীদদের স্মৃতিচারণ করছে তৃণমূল(TMC)। গ্রামে পৌঁছে শহীদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Virat Kohli: নেটে ব‍্যাট করতে গিয়ে আউট, রেগে গেলেন বিরাট

ঠিক কী ঘটেছিল এই অভিশপ্ত দিনে?

তখন ভোটদান পর্ব চলছে। তার মাঝেই হঠাৎ কোচবিহারের শীতলকুচির জোড় পাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতলির ১২৬ নম্বর বুথে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় ২০ বছরের সামিউল মিঞা, ১৮ বছরের খেতমজুর নুর আলম মিঞা, কাঠমিস্ত্রী ২৮ বছরের মণিরুজ্জামান মিঞা ও ২৮ বছরের রাজমিস্ত্রী হামিদুল মিঞার। এই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কোচবিহারে গিয়ে নিহতদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন। পরে নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার(Government of West bengal)। পরিবারের একজনকে হোমগার্ড হিসেবে চাকরিও দেওয়া হয়।

কিন্তু অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার-চারটে শরীর ঝাঁঝরা হয়ে গেলেও, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের তরফে এখনও কোনও সাহায্য মেলেনি। তবে শীতলকুচির ঘটনা রাজনীতির মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলছে সিআইডি তদন্ত। এই তদন্তের উপর ভরসা আছে বলে জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। প্রিয়জনকে হারানোর যন্ত্রণা নিয়ে বিচারের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে আনন্দ, সামিউল, মণিরুজ্জামানদের পরিবার।

Previous articleজন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ
Next articleএবার UGC-র টুইটার হ্যাক, হ্যাকারদের দৌরাত্ম্যে উদ্বিগ্ন সরকার