রামনবমীর দিন আমিষ খাওয়াকে কেন্দ্র করে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং বাম ছাত্র সংগঠনের হওয়া সংঘর্ষের তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “জেএনইউ এর হোস্টেলে নন-ভেজ খাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলো ABVP-এর গুন্ডারা। মানসিক ভাবে বিকৃত এবং সুস্থ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক এই সমস্ত গো সন্তানদের অবিলম্বে আইডেন্টিফাই করে সুস্থ সমাজ থেকে দূরে রাখার সরকারি স্কিম চালু হোক।”

#JNU এর হোস্টেলে নন-ভেজ খাওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিলো ABVP এর গুন্ডারা। মানসিক ভাবে বিকৃত এবং সুস্থ্য সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক এই সমস্ত গো সন্তানদের অবিলম্বে আইডেন্টিফাই করে সুস্থ সমাজ থেকে দূরে রাখার সরকারি স্কিম চালু হোক.. pic.twitter.com/0qep8spsPP
— Trinankur Bhattacharjee (@TrinankurWBTMCP) April 10, 2022
আরও পড়ুন:G d Birla : জিডি বিড়লা স্কুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
রবিবার ক্যাম্পাসে এবিভিপি কর্মীদের বিরুদ্ধে আমিষ খাবার খেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করে বাম ছাত্র সংগঠন।তাঁদের অভিযোগ আমিষ খাবার খেতে বাধা দেয় এবিভিপি কর্মীরা। এমনকি মারধর শুরু করে। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। পালটা এবিভিপির অভিযোগ, হোস্টেলে পূজা করতে বাধা দেয় বামপন্থী পড়ুয়ারা। রবিবারের এই ঘটনায় দু’পক্ষের মোট ১৫ জন পড়ুয়া আহত হয়। তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকালে ক্যাম্পাসে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-র কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ নং ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, জেএনইউ-র কাবেরী ছাত্রাবাসে প্রতি রবিবার মেনুতে মাংস থাকে। রামনবমীর রবিবারও মাংস রান্না হচ্ছিল হস্টেলের ক্যান্টিনে। অভিযোগ, এবিভিপির একদল পড়ুয়া মাংস রান্না বন্ধ করার নিদান জারি করেন। বলা হয়, রামনবমীর দিন কোনও আমিষ খাওয়া হবে না হস্টেলে, নিরামিষ খেতে হবে সবাইকে। তাতেই আপত্তি জানায় মেস সেক্রেটারি।তিনি স্পষ্টতই বলেন যা মেনুতে রয়েছে তাই রান্না হবে। কিন্তু তাতেই ক্ষেপে ওঠেন এবিভিপির সদস্যরা। মারধর করেন মেস সেক্রেটারিকেও।

অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ছাত্র সংসদ আইসার (AISA) সদস্যরা। তাঁদের উপর এবিভিপি সদস্যরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসার নেত্রী মধুরিমা কুণ্ডু। তাঁর কপাল ফেটে রক্ত ঝরে। আহত হন আইসার সর্বভারতীয় সভাপতি এন সাই বালাজিও। এই ঘটনায় ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ ফের সংবাদের শিরোনামে।

