মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দেউচা পাচামির খনি প্রকল্পের জট কাটল। বুধবার, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সঙ্গে আলোচনার পরে আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছে কমিটি। বুধবার, বীরভূম (Birbhum) জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বীরভূমের দেউচা পাচামিতে এশিয়ার বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য। এই প্রকল্পে ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা। কর্মসংস্থান হবে লক্ষাধিক মানুষের। কিন্তু রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে বিরোধীরা। স্থানীয়দের উসকে আন্দোলন শুরু হয়েছে।

যদিও ইতিমধ্যে দেউচা পাচামির জমিদাতাদের নবান্নে ডেকে ক্ষতিপূরণ এবং চাকরি দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মাসখানেক আগেই ২০৩ জনকে জমির পাট্টা ও চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই সংগঠনের ৯ প্রতিনিধি এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের সমস্যা ও দাবি নিয়ে আলোচনা করেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রতিনিধিরা খুশি। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিয়েছেন, আপাতত আর আন্দোলন হবে না। এদিনের আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এলাকায় ফিরে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রী তাদের সমস্ত কথা শুনেছেন এবং সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিরোধীরা নানাভাবে এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। তারা চায় না ১ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হোক। বিরোধী দলগুলি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ভুল বোঝাচ্ছে। অভিযোগ, এ বিষয়ে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব এক।
আরও পড়ুন- Howrah : ছাত্র সংঘর্ষের জেরে উত্তাল কানাইলাল ভট্টাচার্য কলেজ
