Thursday, August 28, 2025

আসানসোলে প্রায় ২.৫ লাখ ভোট বাড়িয়ে রেকর্ড তৃণমূলের, বালিগঞ্জে জামানত জব্দ বিজেপির

Date:

Share post:

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয় তো বটেই রেকর্ড গড়ল তৃণমূল। ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে ২ লক্ষের বেশি ভোটে পরাজয় দেখতে হয়েছিল ঘাসফুল শিবিরকে। অথচ মাত্র দু’বছর পর সেখানেই প্রায় আড়াই লক্ষ ভোট বাড়ল তৃণমূলের। পাশাপাশি নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলকে ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। শুধু তাই নয় লজ্জা আরো বাকি ছিল বঙ্গ বিজেপির জন্য। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে নেমে জামানত বাজেয়াপ্ত হল গেরুয়া শিবিরের।

নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪,৩৫,৭৪১টি। এখানে তৎকালীন সময়ে জয়ী প্রার্থী বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল, ৬,৩৩,৩৭৮। তবে মাত্র দু’বছরে এই ফলাফল কার্যত উল্টে গেল আসানসোলে। রিপোর্ট বলছে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রাপ্ত ভোট ৬,৫৬,৩৫৮। নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দী বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলকে তিনি হারিয়েছেন ৩,০০,৫৪৩ ভোটে। অগ্নিমিত্রার প্রাপ্ত ভোট মাত্র ৩,৫৩,১৪৯। শতাংশের হিসেবে এই কেন্দ্রে তৃণমূল পেয়েছে ৫৬.৬২ শতাংশ ভোট। এবং বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৩০.৪৬ শতাংশ ভোট।

আরও পড়ুন:মিশন ২৪: প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আবেদন হাত শিবিরের

অন্যদিকে বালিগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ২০,২২৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তার প্রাপ্ত ভোট ৫১,১৯৯ টি। এই কেন্দ্রে বড়সড় চমক দিয়েছে সিপিএম। দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। তবে লজ্জার বিষয় হল বালিগঞ্জ কেন্দ্রে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেসের। ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ পেয়েছেন মাত্র ১৩,১৭৪ ভোট। জমানত বাঁচাতে গেলে কেয়াকে পেতে হতো ১৭,১৭২। অন্যদিকে, কংগ্রেসের কামরুজ্জাম চৌধুরী পেয়েছেন ৫,১৯৫ ভোট। দু’জনরেই জামানত জব্দ হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই কেন্দ্রে সিপিএমের সায়রা শাহ হালিম পেয়েছেন ৩০,৮১৮ ভোট। গতবারের থেকে এবার সিপিএমের ভোট বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি।

spot_img

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...